মসজিদে নববীতে নামাজ পড়লে যে বিশেষ সওয়াব পাবেন

মক্কার মসজিদে হারামের পরই মদিনার মসজিদে নববীর গুরুত্ব ও মর্যাদা। কোরআন ও হাদীসে এ সম্পর্কে একাধিক ঘোষণা এসেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকে তা বেশী হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন।’ -(সুরা তওবা, আয়াত, ১০৮)

আল্লামা সামহুদী বলেন, ‘কুবা ও মদীনা- উভয় স্থানের মসজিদ প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার ওপর প্রতিষ্ঠিত। উক্ত আয়াতে তাই উভয় মসজিদের কথা বলা হয়েছে।’ -(শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী, তারীখুল মাদীনাতিল মুনাওয়ারা : পৃ. ৭৫)

মসজিদে নববীর আরেকটি ফজিলত হলো, এতে নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং এখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্য মসজিদে ছয় মাস নামাজ পড়ার সমতুল্য।

ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।’-(বুখারী : ১১৯০; মুসলিম : ১৩৯৪)

হজরত আবূ দারদা রা. থেকে বর্ণিত অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববী) এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বাইতুল মাকদাসে এক নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’-(মাজমাউয যাওয়াইদ : ৪/১১)

মসজিদে নববীর ফজিলত সম্পর্কে অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথায়ও (সওয়াব আশায়) সফর করা জায়েজ নেই: মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আক্সা।’-(বুখারী : ১১৮৯, মুসলিম : ১৩৯৭)

হজরত আবু হুরাইয়া রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে আমার এই মসজিদে কেবল কোনো কল্যাণ শেখার জন্য কিংবা শেখানোর জন্য আসবে, তার মর্যাদা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। পক্ষান্তরে যে অন্য কোন উদ্দেশ্যে তা দেখতে আসবে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে অন্যের মাল-সামগ্রীর প্রতি তাকায়।’ -(ইবনে মাজাহ : ২৭৭)

আরেকটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি আমার মসজিদে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ একাধারে আদায় করে, এর মধ্যে কোনো নামাজ না ছুটে যায়, তাহলে তার জন্য লেখা হয়, জাহান্নাম থেকে মুক্তি, শাস্তি থেকে পরিত্রাণ এবং সে হয় নিফাক মুক্ত।’ -(মুসনাদে আহমাদ : ১২১৭৩; তাবরানি : ৫৪৪)।

এনটি