প্রতীকী ছবি

দিনে-রাতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ভয় পাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। অনেক সময় রাতের বা দিনের নির্জনতায়, ঘুমের ভেতর, কোথায় একাকী থাকলে মনের ভেতর ভীতির সঞ্চার হয়। ঘুমের ভেতরেও অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে ওঠেন। যেকোনো ভয়ের মুহূর্তেই আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।

হজরত আমর ইবনে শুয়াইব (রহ.) তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তারা বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের ভীতিকর পরিস্থিতিতে এই বাক্যগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা দিতেন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّياطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

(আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তা-ম্মাতি মিন্ গাদ্বাবিহি ওয়া ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়ামিন হামাযা-তিশ্‌শায়া-ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ্‌দুরূন)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) এই বাক্যগুলো তার সাবালক সন্তানদের শেখাতেন এবং নাবালকদের জন্য লিখে তা তার গলায় ঝুলিয়ে দিতেন। (আবু দাউদ : ৩৮৯৩, তিরমিজি : ৩৫২৮)

ঘুমের মধ্যে খারাপ স্বপ্ন দেখলে হাদিসে আরও কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর উপর আমল করা উচিত। আমলগুলো হলো-

১. শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু  নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

২. যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

৩. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

এনটি