প্রতীকী ছবি

একজনের সঙ্গে অন্যজনের সাক্ষাৎ হলে একে অন্যের কল্যাণ কামনায় সালাম দিয়ে কথা শুরু করে মুসলিমরা। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সালামের আদেশ দিয়েছেন। কারও ঘরে প্রবেশের সময় আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের সালামের নির্দেশ দিয়েছেন, বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তোমরা ঘরে ঢুকবে নিজেদের লোকদের সালাম করবে কারণ এটা সাক্ষাতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত বরকতপূর্ণ ও পবিত্র দোয়া। (সুরা নুর, আয়াত : ৬১)

আরেক আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! নিজ ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না অনুমতি গ্রহণ করো এবং তার বাসিন্দাদের সালাম দাও।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২৭)

সালামের জবাব কীভাবে দিতে হবে তাও শেখানো হয়েছে পবিত্র কোরআনে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কেউ সালাম দেয়, তখন তোমরা (তাকে) তদপেক্ষা উত্তমরূপে সালাম (জবাব) দাও, কিংবা (অন্ততপক্ষে) সে শব্দেই সালামের জবাব দাও।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬)

সত্যিকারের মুসলিম কখনো সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে না। তবে আমাদের সমাজে বড়দেরকে সালাম দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও অনেকেই ছোটদের সালাম দেওয়ার সুন্নত সম্পর্কে অসচেতন। অনেকে মনে করেন ছোটরা মুরুব্বিদেরকে সালাম দেবে। এটা আল্লাহর রাসুলের (সা.) আদর্শ নয়। আল্লাহর রাসুল বড় ও মুরুব্বি হয়েও ছোটদেরকে সালাম দিতেন।

নিজের চেয়ে ছোটদেরকে সালাম দেওয়া কোমল হৃদয় ও স্নেহশীলতার পরিচায়ক। হজরত আনাস (রা.) ছিলেন একজন বালক সাহাবি এবং রাসুল (সা.)-এর ঘরের খাদেম। দশ বছর বয়স থেকে তিনি রাসুল (সা.)-এর খেদমতে নিয়োজিত হয়েছিলেন। প্রায় দশ বছর নবীজির খেদমত করেন তিনি। বয়সে বালক হওয়ায় তিনি কাজের শেষে মাঝেমধ্যে খেলাধুলায় অংশ নিতেন। নবীজিও তার পিছে পিছে গিয়ে তাকে ও তার বন্ধুদেরকে সালাম দিতেন। 

হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘এক দিন আমি রাসুল (সা.)-এর খেদমতে ছিলাম। এরপর যখন দেখি আমার খেদমত শেষ হয়েছে তখন রাসুল (সা.) দ্বিপ্রহরের বিশ্রাম করবেন ভেবে বালকদের খেলার জায়গার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি খেলা দেখছিলাম। এমন সময় হঠাৎ রাসুল (সা.) এসে পড়লেন এবং বালকদেরকে সালাম দিলেন, যারা খেলাধুলা করছিল।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৩০২২)।

 তার থেকে আরও একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার কিছু শিশু-কিশোরদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি তাদেরকে সালাম দিয়েছেন।’ (মুসলিম : ২১৬৮)

এনটি