প্রতীকী ছবি

নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় রুকন বা স্তম্ভ। ইমানের পরই নামাজের স্থান। নামাজ বারো মাসই আদায় করতে হয়। আর রোজা শুধু মাহে রমজানে ফরজ।

একজন মুমিন মুসলমান বছরজুড়ে নামাজ আদায় করবেন_ এটাই স্বাভাবিক। এর পর যখন পবিত্র মাহে রমজানের আগমন ঘটবে, তখন নামাজ আদায়ের পাশাপাশি রমজানের রোজাগুলোও পালন করবেন।

একজন রোজাদার শুধু রোজা রাখবেন, নামাজ পড়বেন না_ এমনটা কখনও কল্পনা করা যায় না। নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে প্রচুর আলোচনা রয়েছে।

এক হাদিসে এসেছে, বুরাইদা রাযি. বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ 

যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়। (বুখারী  ৫২০)

ইবনুল কায়্যিম তার  এ হাদিসের মর্মার্থ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,

‘বেনামাজি ব্যক্তি দুই ধরণের-

(১) পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করা। কোন নামাজই না পড়া। এ ব্যক্তির সমস্ত আমল বিফলে যাবে।

(২) বিশেষ কোন দিন বিশেষ কোন নামাজ ত্যাগ করা। এক্ষেত্রে তার বিশেষ দিনের আমল বিফলে যাবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে নামাজ ত্যাগ করলে তার সার্বিক আমল বিফলে যাবে। আর বিশেষ নামাজ ত্যাগ করলে বিশেষ আমল বিফলে যাবে। ” (আসসালাত পৃ-৬৫)

সুতরাং নামাজ না পড়ে রোজা রাখলে রোজা আদায় হবে না; এমনটা বলা যাবে না। অনুরূপভাবে সে রোজার সাওয়াব পাচ্ছে ; এটা বলাও কঠিন। এজন্য আমরা এমন ব্যক্তিকে বলবো, নামাজ পড়ুন, রোজাও রাখুন।