প্রতীকী ছবি

রোজাদারের জন্য আনন্দের একটি বিষয় ইফতার। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় (এ সময় যেকোনো নেক দোয়া কবুল করা হয়)। অন্যটি হলো (কেয়ামতের দিবসে) নিজ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬; বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২; মুসলিম, হাদিস : ১১৫১)

ইফতারের সময় হলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি ইফতার করা ভালো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তাড়াতাড়ি ইফতার করতেন। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮২১; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৩৮)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলিইহি ওয়াসাল্লাম খুব স্বাভাবিক ইফতার করতেন। অনেক বেশি আয়োজন থাকতো না তার ইফতারের দস্তরখানে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইফতারের পাতে কাঁচা খেজুর থাকতো বেশিরভাগ সময়ে। তবে কাচা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুরও খেতেন তিনি।

হজরত আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (সুনানে তিরমিজি; রোজা অধ্যায় : ৬৩২)

আরেক হাদিসে হজরত সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র। (আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি শরিফ; আলফিয়্যাতুল হাদিস : ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)

খেজুর ছাড়াও তৎকালীন আরবে প্রচলিত অন্যান্য খাবারও খেতেন তিনি। আবদুল্লাহ বিন আবি আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল (সা.)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১০৯৯)

এনটি