বিশ্ব ইজতেমায় অজু করার দৃশ্য, ছবি : গেটি ইমেজ

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ আদায়ের জন্য অজু করা আবশ্যক। নামাজ ছাড়াও অনেক ইবাদতের জন্যই অজু করতে হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যখন নামাজের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে। আর মাথা মাসেহ করবে এবং উভয় পা টাখনু (গ্রন্থি) পর্যন্ত ধৌত করবে...।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬)

অজুর গুরুত্ব সম্পর্কে এক হাদিসে জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের চাবি হল নামাজ। আর নামাজের চাবি হল পবিত্রতা (অজু)। (মুসনাদে আহমাদ, ১৪৭০৩; তিরমিজি, ৪)

অজু বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু ফরজ ও সুন্নত বিধান রয়েছে। সুন্নত বিধানের একটি হলো ভালোভাবে গড়গড়া করে কুলি করা। তবে আলেমরা বলেন, রোজা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলে পানি ভিতরে প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকে তাই গড়গড়া করে কুলি করা যাবে না, বরং হালকাভাবে কুলি করে নিতে হবে। 

অনুরূপভাবে নাকের গভীরে পানি প্রবেশের চেষ্টা করা যাবে না; বরং হালকাভাবে নাকের মধ্যে পানি দিতে হবে, যাতে পানি একেবারে ভেতরে প্রবেশ না করে। (তাহতাবী ১০২)

লাকিত ইবনে সবিরা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما

(অজু-গোসলের) সময় ভালোভাবে নাকে পানি দাও, তবে রোজাদার হলে নয়। (জামে তিরমিজি, ৭৬৬)