প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ লাভ হয় ইতিকাফের মাধ্যমে। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। 

যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করেন, তারা ২০ রমজান সন্ধ্যায় মসজিদে অবস্থান করেন।

প্রতিটি মহল্লা থেকে কমপক্ষে একজন ১০ দিনের জন্য মসজিদে ইতিকাফে বসা সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। কেউ না বসলে এলাকার সবাই সুন্নত তরকের কারণে গুনাহগার হবেন। ইতিকাফে যিনি বসবেন, তার কর্তব্য পুরো সময় মসজিদের সীমানার ভেতরে অতিবাহিত করা। পরিবার ও এলাকাবাসী সাধ্যমতো তার সেবা করবে।

সুন্নত ইতিকাফকারী জানাজার জন্য মসজিদের বাইরে গেলে তার ইতিকাফ ভেঙে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইতিকাফকারীর জন্য নিয়ম হলো, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে না এবং (মসজিদের বাইরে) জানাজায় শরিক হবে না’ (আবু দাউদ : হাদিস ২৪৬৫)।

তবে ইতিকাফকারীর জন্য কোনো কারণে বাইরে অনুষ্ঠিত জানাজায় শরিক হওয়া আবশ্যক হলে, যেমন জানাজা পড়ানোর জন্য যদি আর কেউ না থাকে তা হলে যেতে পারবে। তবে এ কারণে তার ওই দিনের ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে এবং সুন্নত ইতিকাফও থাকবে না। এ ক্ষেত্রে তাকে একদিন রোজা অবস্থায় ইতিকাফের কাজা করতে হবে। (আলমুহিতুল বুরহানি : ৩/৩৮০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/২২২; রদ্দুল মুহতার : ২/৪৪৫; ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/২১২)