প্রতীকী ছবি

ইতিকাফ ইচ্ছায় ভঙ্গ হোক বা কোনও কারণে (যেমন অসুস্থ হলে অথবা অনিচ্ছায় যেমন মহিলাদের পরিয়ডজনিত কারণে অথবা দীর্ঘ সময়ের জন্য কেউ পাগল বা অচেতন হয়ে গেলে) সর্বাবস্থায় ইতিকাফ কাজা করা ওয়াজিব।

১০ দিনের মধ্যে ৩ দিনের ইতিকাফ নষ্ট হলে ১০ দিনের কাজা করতে হবে না, বরং যে দিনগুলোর ইতিকাফ ছুটে গেছে সে দিনগুলোর কাজা করলেই যথেষ্ট। আর সব ইতিকাফ ছুটে গেলে সবগুলোরই কাজা করতে হবে। 

ইতিকাফরত ব্যক্তির উচিত কোনওভাবে যেন ইতিকাফ না ভাঙে সেদিকে খেয়াল রাখা। কারণ, বিনা প্রয়োজনে ইতিকাফ ভেঙে ফেলা নিন্দনীয় ও গুনাহের কাজ। তবে কিছু কিছু বিশেষ সময়ে ইতিকাফ ভাঙলে গুনাহ হয় না। পরবর্তীতে শুধু কাজা আদায় করে নিলেই হয়ে যায়। এমন কয়েকটি পরিস্থিতি হলো-

১. কেউ অন্যায়ভাবে মসজিদ থেকে এতেকাফকারীকে বের করে দিলে। তবে সঙ্গে সঙ্গে অন্য কোন মসজিদে ঢুকে গেলে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না।

২. পেশাব-পায়খানার জন্য বের হওয়ার পর কোন পাওনাদার ইতিকাফকারীকে আটক করে রাখলে। এক্ষেত্রে পাওনাদারসহ এতেকাফকারী সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে ঢুকে গেলে এতেকাফ নষ্ট হবে না।

৩. মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার মতো কোনো মুসল্লী না থাকায় এতেকাফকারী মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে, তবে এক্ষেত্রে ইতিকাফকারী গুনাহগার হবে না। ফাতাওয়া শামি-৩/৪৩৮.ফাতাওয়া আলমগিরি-১/৩১২.

লেখক: মুফতি ও মুহাদ্দিস শেখ জনূরুদ্দীন রহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা চৌধুরীপাড়া ঢাকা