রমজানে পুরো মাস রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই রোজার মাধ্যমে রমজানের রোজার শুকরিয়া আদায় করা হয়। রাসুল (সা.) নিজে এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন।

আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ (মুসলিম, হাদিস : ২/৮২২)

হাদিসের আলোকে আলেমরা সবসময় শাওয়ালের এই ছয় রোজা রাখার প্রতি সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করে থাকেন। চলতি মাসে এ রোজা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। মুসলিমরা এই রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখবেন নাকি বিরতি দিয়ে রাখবেন এ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তিনি বলেছেন,‘ শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। বছর ঘুরে শুধু একবার শাওয়ালের এই নফল রোজার সুযোগ পাওয়া যায়’।

‘চাইলে ছয়টি রোজা একসাথেও রাখতে পারেন, আবার সুবিধামত গেপ দিয়েও রাখতে পারেন। তাই, যারা এখনো শুরু করেননি, দ্রুত শুরু করে দিন। বিত্তাওফিক  ইন শা আল্লাহ’।

শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব?’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে। কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে রমজানের রোজা রাখো এবং রমজান-পরবর্তী শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখো, তাতেই সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি : ১/১৫৭)