ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি হজ। সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। শারীরিক সক্ষম ও আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রত্যেক মুমিন মুসলমান বায়তুল্লাহর কালো গিলাফ আর কালো পাথর ছুঁয়ে জীবনের সব অপরাধের জন্য ক্ষমা পেতে চান। যাদের চোখের জল আর মনের আকুতি কবুল হয় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন।

বর্তমান সময়ে প্যাকেজ অনুযায়ী হজ সফর সাধারণত এক থেকে দেড় মাস সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই এ দীর্ঘ সফরে ব্যাগেজ যত কম হয় ততই ভালো। অবশ্য যা না নিলেই নয়, তা নেবেন। সাধারণত নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের মধ্যে হাজিদের যা প্রয়োজন হয়- 

১. ব্যবহারের কাপড়-লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, পাজামা। 
২. নিত্য ব্যবহারের তেল, সাবান, টুথপেস্ট, মিসওয়াক

৩. একটি হাওয়াই বালিশ (যা মুজদালিফাসহ অনেক জায়গায় লাগতে পারে)।
৪. খাবারের জন্য একটি থালা এবং ছোট মগ।

৫. প্রয়োজনীয় ওষুধ (ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, আমাশয়, মাথাব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, খাওয়ার স্যালাইন ইত্যাদি)।
৬. দুটি ব্যাগ। একটি সব মাল রাখার জন্য বড় ব্যাগ, অন্যটি মিনা, মুজদালিফা, আরাফাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনে ইহরামের কাপড়, পাসপোর্ট-টিকেট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার জন্য।

৭. দুই সেট ইহরামের কাপড়।
৮. ইহরামের কাপড় পরে কোমর বাঁধার জন্য একটি কাপড়ের বা চামড়ার বেল্ট।

৯. বেড়িওয়ালা স্যান্ডেল বা স্পঞ্জের স্যান্ডেল ও ভালো জুতা (ব্যাগসহ) ২ সেট।
১০. পরিমাণমতো সৌদি রিয়াল বা ডলার।

১১. গলায় ঝুলিয়ে ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। যাতে পাসপোর্ট, টিকেট, হজের বই ও প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যায়।
১২. নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম ও মুফতির লিখিত হজের কিতাব, ফাজায়েলে হজ, মুন্তাখাব হাদিস ও মুনাজাতে মকবুল সঙ্গে রাখুন।

এছাড়াও হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে।