পরিবারকে নিয়ে ওমরায় গিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিভ্রষ্ট বা ভুলে যাওয়ার রোগে আক্রান্ত সৌদ আল আরেফিনের (পাপলু) সন্ধান মিলেছে। শুক্রবার (১২ মে) রাতে তার সন্ধান পাওয়া গেছে।

ডিমনেশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট বা ভুলে যাওয়া) রোগে আক্রান্ত সৌদ আল আরেফিন (পাপলু) গত সোমবার (৮ মে) মা ও ভাইকে নিয়ে পবিত্র কাবা তাওয়াফ করার সময় হারিয়ে যান। স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে আক্রান্তের কারণে নিজেও খোঁজ নিয়ে আসতে পারছিলেন না পরিবারের কাছে। 

চারদিন খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান পায়নি তার পরিবার। ইতোমধ্যে (গত ১০ মে) ‌‘ওমরায় গিয়ে পরিবারকে খুঁজে পাচ্ছেন না পাপলু’ শিরোনামে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট

সংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার (১২ মে) রাতে কাবার পাশে পাপলুকে দেখে সনাক্ত করেন এক দম্পতি। এরপর পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহুর্তেই এ খবর ভাইরাল হয়। 

গত সোমবার (৮ মে) মা ও ভাইকে নিয়ে কাবা শরীফ তাওয়াফের সময় হারিয়ে যাওয়া সৌদ আল আরেফিন (পাপলু)-এর বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাজলাধারার শেরপুর গ্রামে। তিনি সিলেট শহরের পোশাক বিপণীর মালিক।

পাপলুর স্বজন রাসেল কালাম বলেন, হারিয়ে যাওয়া পাপলুকে খুঁজে পাওয়া গেছে কাবা শরীফের পাশেই। যারা কষ্ট করে খুঁজে বের করেছেন এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, খোঁজ নিয়েছেন সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

পাপলুর মামাতো ভাই আবু নোমান মুয়িন বলেন, ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত থাকায় পাপলুর নিজের পক্ষে পরিবারের কাছে ফেরা সম্ভব হচ্ছিলো না। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে পাপলুকে খোঁজে পাওয়া গেছে। ঢাকা পোস্টসহ সবার প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা। 

সৌদি আরবের বাসিন্দা আব্দুল গফফার ফাহমি বলেন, পাপলুকে খুঁজতে দুলাভাই এমাদ আহমদ আমেরিকা থেকে এসেছিলেন। পাপলু এখন তার কাছেই আছেন। আমরা স্থানীয়ভাবে সৌদি হজ প্রশাসন ও পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এখন তাকে পাওয়া গেছে। যারা তাকে খুঁজে পেতে সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃজ্ঞতা। 

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মৃতিভ্রষ্ট বা ভুলে যাওয়ার রোগটি। যাকে বিজ্ঞানীদের ভাষায় ডিমনেশিয়া বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ এই ডিমনেশিয়ায় আক্রান্ত। 

ওমর ফারুক নাঈম/এনটি