ছবি : সংগৃহীত

ওমরার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি কাজ হলো পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করা (সাত চক্কর দেওয়া)। একজন মানুষের জন্য স্বাভাবিকভাবে এই দুইটি কাজ পূর্ণ করতে আনুমানিক কতটা সময় লাগতে পারে এবার তা জানিয়েছে সৌদি আরবের হারামাইন শরীফাইন কর্তৃপক্ষ।

হারামাইন কর্তৃপক্ষের বরাতে সাবাক ওয়েব সাইটের খবরে বলা হয়েছে, শাওয়াল মাসে ওমরা পালনকারীদের ওপর করা একটি জরিপে দেখা গেছে একজন মানুষের ওমরা পালন করতে ৯৪ মিনিটের থেকে বেশি সময় লাগে।

হারামাইন প্রশাসন বলছে, সায়ি পূরণ করতে স্বাভাবিকভাবে ৩৯ মিনিট সময় লাগে। একইভাবে তাওয়াফ করতে ৪৬ মিনিট সময় লাগে। আর মাতাফ থেকে মাসআ অর্থাৎ সাঈ’র জায়গা পর্যন্ত যেতে ৯ মিনিট সময় লাগে। এই জরিপ অনুযায়ী একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের জন্য ওমরা পালন করতে মোটামুটি ৯৪ মিনিট সময় লাগে।

ওমরাহ পালনে প্রধানত চারটি কাজ করতে হয়। দুইটি কাজ ফরজ— (ক.) ইহরাম পরিধান করা। (খ.) পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ করা। আর দুইটি কাজ ওয়াজিব— (ক.) সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সাঈ করা। (খ.) মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা।

ওমরা করার জন্য প্রথমে ইহরামের নিয়ত করতে হয়। এরপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে হয়। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ইখলাস পড়া উত্তম।

দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পর জমজমের পানি পান করতে হয়। এরপর সাফা-মারওয়ায় সায়ি করতে হয়। সাফা-মারওয়ায় সাত চক্কর শেষ করার পর পুরুষ হলে মাথা মুণ্ডন অথবা মাথার চুল ছোট করতে হয়। আর নারীদের আঙুলের এক কর পরিমাণ মাথার চুল কাটতে হয়। সুতরাং ওমরাহ পালন করতে মূলত ইহরাম, তাওয়াফ, সায়ি, মাথা মুণ্ডন বা মাথার চুল ছোট করার কাজগুলো করতে হয়।

এনটি