প্রতীকী ছবি

দুই সিজদার মাঝখানে দোয়া পড়া রাসুল (সা.)-এর শাশ্বত ‍সুন্নত। এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এই সময়ের যে দোয়া রয়েছে, তা বেশ অর্থবহ ও জীবনঘনিষ্ঠ।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) দুই সিজদার মাঝে এই দোয়াটি পড়তেন-

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَارْحَمْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي ، وَارْزُقْنِي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন। আমার প্রয়োজন পুরো করে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৪)

হাদিসে শব্দগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্নতা রয়েছে। কোথাও কম, আবার কোথাও বেশি। সব মিলিয়ে এই দোয়ায় সাতটি শব্দ রয়েছে। সে হিসেবে দোয়াটির পূর্ণ রূপ এমন-

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَارْحَمْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي ، وَارْزُقْنِي ، وَعَافِنِي ، وَارْفَعْنِي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি, ওয়া আ’ফিনি, ওয়ারফা’নি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন। আমার প্রয়োজন পুরো করে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমার সম্মান বৃদ্ধি করুন।  (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৫০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৮৮)

প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম নববী (রহ.) বলেন, এই ক্ষেত্রে উত্তম হলো- সবগুলো হাদিসের শব্দের সমন্বয়। তার মানে মোট সাতটি শব্দের সবগুলো দোয়ায় উল্লেখ করা। (আল-মাজমু : ৪৩৭/৩)

সবগুলো শব্দ পড়া সম্ভব না হলে বা না পড়লে, অন্তত ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ পড়া যায়। হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) দুই সিজদার মাঝে ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ বলতেন। (নাসায়ি, হাদিস : ১১৪৫)

এমএমইউ