ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র কাবা শরিফ। মহান আল্লাহ তাআলার প্রকৃষ্ট নিদর্শন। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষের মিলনস্থল। আল্লাহ তাআলা কাবাকে তার মনোনীত বান্দাদের একত্রিত হওয়ার স্থান হিসেবে কবুল করেছেন।

পৃথিবীর মধ্যস্থলে অবস্থিত
ভৌগোলিকভাবেই পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। যে কারণে এটি পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত। এ বিষয়ে একটি চমৎকার থিসিস রয়েছে— ‘ইসকাতুল কুর্রাতিল আরধিয়্যা বিন্ নিসবাতি লিমাক্কাতিল মুকাররামা।’ অভিসন্দর্ভটি তৈরি করেছেন ড. হুসাইন কামাল উদ্দিন আহমদ। প্রাচীন ও আধুনিক দলিল-দস্তাবেজের আলোকে ওই থিসিসে তিনি প্রমাণ করেছেন যে— কাবাই পৃথিবীর মেরুদণ্ড ও পৃথিবীর মধ্যস্থলে অবস্থিত। (মাজাল্লাতুল বুহুসুল ইসলামিয়া, রিয়াদ : ২/২৯২)

কাবার ভেতরের চমৎকার দৃশ্য।

ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পানিসর্বস্ব পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি এ কাবাকে কেন্দ্র করেই। মক্কা ও কাবার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ইব্রাহিম (আ.)-এর পদচিহ্ন-স্মৃতি। এছাড়াও কাবাঘর পৃথিবীর সর্বপ্রথম ও সুপ্রাচীন ঘর। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে— 

নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা বাক্কায় (মক্কা নগরীতে) অবস্থিত।

(সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬)

কাবার ভেতরে কী আছে?
অনেকেই জানতে চান— পবিত্র কাবার ভেতরে কী আছে। কোন কোন জিনিস সেখানে রাখা হয়েছে। মানুষের সেই আগ্রহের প্রতি খেয়াল রেখে আমরা পাঠককে জানাবো— কী আছে কাবার ভেতরে। কাবার ভেতরে আছে—

♦  কাবার ভেতরে একটি সিন্দুকে উন্নত মানের সুরভি। ♦  কাবাঘর মোছার জন্য কয়েকটি মখমল তোয়ালে রাখা আছে। ♦  বিভিন্ন যুগের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি মশাল ও পিদিম রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন রাজা-বাদশাহ পবিত্র কাবার জন্য উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।

কাবার ছাদে ওঠার জন্য ভেতরের দরজা।

♦  কাবার ভেতরে ডান পাশে একটি সোনার দরজা আছে। এই দরজার নাম ‘বাবুত তাওবা’। ♦  কাবার ছাদে ওঠার জন্য এটি দিয়ে কাবার সিঁড়ির দিকে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ♦  দেয়ালের ওপরের অংশে সাঁটানো সবুজ রেশমি কাপড় রয়েছে। তাতে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত স্বর্ণখচিত করে অঙ্কিত।

♦  কাবার ছাদবাহী তিনটি করে কাঠের স্তম্ভ ও বিম রয়েছে। ♦  কাবার মেঝে ও দেয়াল মার্বেল পাথরে মোজাইককৃত। ♦  এছাড়াও মর্মর পাথরের তিনটি ফলক রয়েছে। একটি দরজার ডান পাশে পূর্ব দেয়ালে, দ্বিতীয়টি উত্তর পাশের দেয়ালে, তৃতীয়টি পশ্চিম পাশের দেয়ালে।