প্রতিদিন কালিমা পাঠের ফজিলত
প্রতীকী ছবি
আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস স্থাপনের নাম হলো ঈমান। ঈমানের কালিমা হলো ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূসুল্লাহ’। এই কালিমা হলো ঈমানের মূল ভিত্তি এবং ঈমানের প্রায় ৭৩টি শাখা-প্রশাখার সর্বপ্রথম শাখা।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ঈমানের ৭০টির বেশি অথবা ৭৩টি শাখা-প্রশাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম শাখা হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা, আর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে পথে বা রাস্তার মধ্য থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দেয়া এবং লজ্জা হলো ঈমানের একটি শাখা।’ ( মুসলিম, হাদিস, ১/৩৫)
বিজ্ঞাপন
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলে ঈমান মজবুত হয়। যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় কালিমা পাঠ করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতি হবে। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রতিপালক নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ২২১০২)
হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ঘোষণা দেয় এবং এরই উপর মৃত্যুবরণ করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম, ১/২৬)
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিন কালিমা পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন একশত বার পাঠ করবে-
لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক তার কোনো শরীক নেই, তার জন্যই সকল রাজত্ব এবং তিনি সকল প্রশংসার মালিক, আর তিনিই সকল বস্তুর ওপর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী)
এটি তার জন্য দশটি গোলাম আজাদ করার সমান হবে, তার আমলনামায় এক শত নেকি লিখা হবে এবং তার আমলনামা থেকে এক শত পাপ মোচন করা হবে। এ কালেমা সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে ঢাল হিসেবে কাজ করবে। আর সে যা নিয়ে উপস্থিত হবে তার চেয়ে উত্তম কিছু নিয়ে কেউ উপস্থিত হবে না, তবে যে ব্যক্তি এ কালেমা তার চেয়ে বেশি পাঠ করবে সে ছাড়া। (সহিহ বুখারি, হাদীস, ৬৪০৩; সহিহ মুসলিম, হাদীস, ২৬৯১)
এনটি