প্রতীকী ছবি

স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে যদি বনিবনা না হয় এবং কোনোভাবেই মিল হওয়া সম্ভব না থাকে অথবা জুলুম-নির্যাতন বা কোনো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি রয়েছে ইসলামে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে না হাটার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে। ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক দেওয়া অত্যন্ত অপছন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে বৈধ কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ হলো তালাক। ’ (আবু দাউদ, হাদিস, ২১৭৮)

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশঙ্কা করলে তার (স্বামীর) পরিবার থেকে একজন ও তার (স্ত্রী) পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ে নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মিমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত।’ -(সূরা আন নিসা, আয়াত, ৩৫)

তবে পৃথিবীর বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে যদি কোনও দম্পতির জন্য একসঙ্গে থাকা সম্ভব না হয় তাহলে ইসলামে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। স্বামী সেগুলো অনুসরণ করবে। তারপরও যদি স্ত্রীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে চূড়ান্ত ফয়সালা তালাক দেওয়ার পথ বেছে নিতে পারবে।

তালাক হওয়ার আগে দাম্পত্য জীবন স্বাভাবিক থাকাকালে স্বামী স্ত্রীকে যেসব গিফট বা প্রয়োজনীয় বস্তু দিয়েছিলেন তা স্ত্রীর মালিকানাধীন এবং দেন-মোহরও স্ত্রীর মালিাকাধীন সম্পদ। তাই কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তালাক হয়ে গেলে স্বামীর দেওয়া গিফট স্ত্রী নিয়ে যেতে পারবেন। কলহ-বিবাদের কারণে স্বামী তা আটকে রাখতে পারবেন না। আর  স্ত্রী এসব বস্তুর মালিক হওয়ার কারণে স্বামীর কোনো অধিকার থাকবে না তা আটকে রাখার। (বাদায়ে সানায়ে, ২/৫৮৪, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩০৩, দুররুল মুখতার, ৪/২৩৩)

এনটি