প্রতীকী ছবি

হাদিস-সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘সূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস, ১/১২৯)

ইসলামি আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের সর্বসম্মতিক্রমে দাড়ি বলা হয়— দুই চোয়ালের দাঁতবিশিষ্ট হাড়ের ওপর গজানো পশম এবং কান ও চোখের মধ্যবর্তী স্থানে গজানো সারিবদ্ধ পশমকে। কোনো কোনো ইসলামী আইনবিদের মতে, ঠোঁটের নিচের অংশে গজানো পশম ও নাকের উভয় দিক সংলগ্ন গালের ওপর গজানো ও থুতনির নিচের নরম অংশে গজানো পশমও দাড়ির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এসব পশম কাটা বা উপড়ানো অনুচিত। (রাদ্দুল মুহতার : ১/১০০, ৫/৩৭৩, হিন্দিয়া : ৫/৩৫৮)

অজুতে যে চারটি অঙ্গ ধোয়া ফরজ তার অন্যতম ও প্রধান হলো- চেহারা ধোয়া। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের চেহারায় চোয়ালের ওপর দাড়ি গজিয়ে থাকে। যত্ন করে দাড়ি রেখে দিলে ঘন হয়ে পুরো চেহারায় তা সৌন্দর্য ছড়ায়। যেহেতু অজুতে চেহারা ধোয়া ফরজ তাই দাড়িও ধুতে হয়।  

আর অজুতে ঘন দাড়ি ধোয়ার নিয়ম হল, চেহারার সীমার ভিতরের পুরো দাড়ির উপরিভাগ ধুয়ে নেওয়া। কারণ, এই পরিমাণ ধোয়া ফরজ। এ অংশ শুধু মাসহ করা যথেষ্ট নয়। আর চেহারার সীমার বাইরের দাড়ি ধুতে হবে না। এ অংশ মাসহ করা সুন্নত। 

(ফাতাওয়া শামী ১/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ১/১৬, আসসিআয়ায় ১/৯৬-৯৮, ফাতহুল কাদীর ১/১২; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৭; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৬)