প্রতীকী ছবি

পবিত্র রমজানুল মোবারকের সুরভিত মওসুম চলছে সারাবিশ্বে। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি মুসলিম ছাড়াও নানা বয়সের শিশুরাও রোজা রাখছে। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে খুশির আবির ছাড়াচ্ছে। সতত ইফতার প্রতিটি রোজাদারের জন্য আনন্দঘন মুহূর্ত।

রোজাদার ইফতার করে তার রোজা পূর্ণ করে। অনেক রোজাদার নিজে ইফতার করার পাশাপাশি অন্যের ইফতারেরও ব্যবস্থা করে। অভাবী কিংবা স্বাবলম্বীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেয় ইফতারের সামগ্রী ও বিভিন্ন খাবার-দাবার।

যারা অন্যকে ইফতার করায়, আল্লাহ তাদের পুরো রোজা রাখার সওয়াব দান করেন। জায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন— 

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, ‘রোজাদারকে ইফতার করানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে- তাকে পেট ভরে তৃপ্ত করানো ‘ (আল ইখতিয়ারাত, পৃষ্ঠা : ১৯)

অন্যদের খাবার দেওয়ার ব্যাপারে উম্মতের সালফে সালেহিন অগ্রণী ছিলেন। তারা এটাকে মহান ইবাদত মনে করতেন। জনৈক সালফে সালেহিন বলেছেন, ‘দশজন সাথীকে দাওয়াত দিয়ে তাদের পছন্দসই খাবার খাওয়ানো— আমার কাছে দশজন গোলাম আজাদ করার চেয়েও প্রিয়।’

সালফে সালেহিনের অনেকে নিজের ইফতার অন্যকে খাওয়াতেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- ইবনে উমর, দাউদ আল-তাঈ, মালিক বিন দিনার, আহমাদ ইবনে হাম্বল। ইবনে উমর এতিম ও মিসকীনদের সঙ্গে না নিয়ে ইফতার করতেন না।

সলফে সালেহিনদের কেউ কেউ তার নিজের ইফতার তার সঙ্গী-সাথীদের খাওয়াতেন এবং নিজে তাদের সেবা-মেহমানদারি করতেন। এদের মধ্যে ইবনুল মুবারক (রহ.) অন্যতম।

আবু সাওয়ার আল-আদাওয়ি বলেন, বনি আদি গোত্রের লোকেরা এই মসজিদে নামাজ পড়ত। তাদের কেউ কখনো একাকী ইফতার করেনি। যদি তার সঙ্গে ইফতার করার জন্য কাউকে পেলে তাকে নিয়ে ইফতার করত। আর যদি কাউকে না পেত, তাহলে নিজের খাবার মসজিদে নিয়ে এসে মানুষের সঙ্গে খেত এবং মানুষকেও খেতে দিত।

খাবার খাওয়ানো অনেকগুলো ইবাদতের...
নিমন্ত্রিত ভাইদের সঙ্গে হৃদ্যতা ও ভালবাসা। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। যেমনটি নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমান আনা ছাড়া জান্নাত যেতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া তোমাদের ঈমান হবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৪)

অন্যকে আতিথেয়তা করার মাধ্যমে উত্তম লোকদের সাহচর্য অর্জিত হয়। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে ‍বিপুল সওয়াব লাভ হয়।