প্রতীকী ছবি

ইসলামে যেসব গুনাহ বা পাপকে গুরুত্বর হিসেবে গণ্য করা হয় এর মধ্যে অন্যতম হলো শিরক। আল্লাহ তায়ালা যেসব গুনাহ মাফ করেন তার একটি শিরক।

ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় শিরক বলা হয়, কোনো জিনিসকে আল্লাহর সত্তা, গুণ অথবা কোনো কর্মের সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করাকে। অন্যভাবে বলা যায়- আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করাকে শিরক বলা হয়। আর মুশরিক অর্থ- যে আল্লাহর ক্ষমতায় অন্য কারো অংশীদারিত্ব সাব্যস্ত করল।

আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে অংশীদার সাব্যস্ত করার ব্যাপারে নিষেধ কোরআনে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন লোকমান উপদেশস্বরূপ তার ছেলেকে বলল- হে ছেলে! আল্লাহর সাথে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরিক করা মহা অন্যায়।’ (সূরা লোকমান, আয়াত, ১৩)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা ৭টি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে বেঁচে থাকো। তারা জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সেগুলো কী? 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘আল্লাহর সঙ্গে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করা।’ জাদু করা, কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করা, আল্লাহ যা হারাম করেছেন, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের মাল খাওয়া, জিহাদ থেকে পলায়ন করা, সতি নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া।’ (বুখারি)

তবে কেউ শয়তানের ধোকা বা অন্য কোনো কারণে জেনে বা না জেনে কখনো এক বা একাধিক শিরকের গুনাহে জড়িয়ে পড়লে এ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা উচিত। তাদের জন্য ভয়াবহ এ পরিণতি থেকে বাঁচার পথ হলো একনিষ্ঠ মনে তওবা করা। আবার ঈমান ও তাওহীদের প্রতি প্রত্যাবর্তন করা এবং সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হওয়া। 

শিরকের গুনাহতে জড়িয়ে পড়ার পর এ থেকে মু্ক্ত হতে তওবা অবশ্যই জীবদ্দশায় হতে হবে; মৃত্যুর পরে তওবা করা কোনো সুযোগ নেই। এভাবে আল্লাহ তায়ালা শিরকের গুনাহও ক্ষমা করে দেবেন ইনশাআল্লাহ। আর তওবা ছাড়া শিরকের গুনাহ সঙ্গে নিয়ে মৃত্যু হলে জাহান্নামে বসবাস করতে হবে।

এছাড়া শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য একজন মুসলিমের সবার আগে শিকরকের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এবং কী কী কাজ করলে শিরক হয় তা জানতে হবে। এছাড়া সব ধরনের শিরকি আকীদা বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করতে হবে এবং এ ধরনের অপরাধ পুনরাবৃত্তি না করার দৃঢ় প্রত্যয় করতে হবে। 

এনটি