প্রতীকী ছবি

দুনিয়ার বুকে মানুষ বিভিন্ন সময় বিপদ-আপদের মুখোমুখি হয়। অনকে সময় কারো মাধ্যমে জুলুম, নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিভিন্ন ফিতনাতেও পড়তে হয়। এসব মানুষের জীবনের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি। আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষকে এসবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, 

وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ

আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৫৫)

তবে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে মানুষের ঈমান অনুসারেই পরীক্ষা করে থাকেন। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা, বিপদাপদ-বালা মুসিবত নবীদেরকে প্রদান করেন। তারপর যারা তাদের পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক। (মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৬৯)

অর্থাৎ প্রত্যেকের ঈমান অনুসারেই তাদের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে পরীক্ষা যেন কেউ আল্লাহর কাছে কামনা না করে। বরং সর্বদা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা কামনা করাই মুমিনের কাজ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক লোককে বলতে শুনেছেন যে, হে আল্লাহ! আমাকে সবরের শক্তি দান কর। তখন তিনি বললেন, তুমি বিপদ কামনা করেছ, সুতরাং তুমি নিরাপত্তা চাও। (মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৩১,২৩৫)

কেউ বিপদাপদ, বা ফিতনায় পড়লে তার উচিত আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা। এক্ষেত্রে কোরআনের সূরা ইউনুসে বর্ণিত এই দোয়াটি কার্যকরী হতে পারে। দোয়াটি হলো— 

عَلَی اللّٰهِ تَوَکَّلۡنَا ۚ رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَۃً لِّلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ وَ نَجِّنَا بِرَحۡمَتِکَ مِنَ الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ

উচ্চারণ : আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা, রাব্বানা লা-তাজআল-না ফিতনাতাল- লিলক্বাওমিয-যালিমিন, ওয়া-নাজ্জিনা, বিরাহমাতিকা মিনাল-ক্বাওমিল-কাফিরিন।

অর্থ :
‘আমরা আল্লাহর উপরই ভরসা করি, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিম জাতির অত্যাচারের পাত্র করো না, আর তোমার অনুগ্রহে আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা কর।’ (সূরা ইউনুস, (১০), আয়াত, ৮৫-৮৬)