প্রতীকী ছবি

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদীর উপদেশের জন্য পূর্ববর্তী যুগের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা। যেসব ঘটনাবলী মানুষকে বিপদে ধৈর্য ও প্রতিকূল পরিবেশে আল্লাহর ওপর ঈমান দৃঢ় রাখতে সাহস জোগায়। কোরআনের ১৫ পারায় আসহাফে কাহাফ বা গুহাবাসীর এমন একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। 

এই ঘটনায় এমন কিছু যুবকের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যারা তৎকালীন রাজ বংশের সন্তান ছিলেন এবং সেই যুগের সবাই যখন আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে শিরক ও মূর্তিপূজায় লিপ্ত ছিল, এ সময় তারা স্রোতের বিপরীতে গিয়ে এক আল্লাহর একত্ববাদের ওপর ঈমান এনেছিল। দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের ঈমানের বিষয়টি গোপন ছিল। 

কিন্তু একদিন তাদের ঈমানের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেল। তখন তাদের রাজ দরবারে ডেকে ঈমান ছেড়ে মূর্তিপূজায় ফেরার হুমকি দেওয়া হলো এবং অন্যথায় তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো। 

এমন পরিস্থিতির পর সেই যুবকেরা একটি গুহায় আশ্রয় নিলেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে অনুগ্রহ কামনা করলেন।সূরা কাহাফের ১০ নম্বর আয়াতে আসহাবে কাহাফের সেই দোয়া বর্ণিত হয়েছে। দোয়াটি হলো—

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا

উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুনকা রাহমাতাও-ওয়া- হায়্যি’লানা মিন-আমরিনা রাশাদা। 

অর্থ : হে আমাদের রাব্ব! আপনি নিজ হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন। (সূরা কাহাফ, (১৮), আয়াত, ১০)

আসহাবে কাহাফের এই ঘটনায় যুবকদের জন্য রয়েছে গুরুতত্ত্বপূর্ণ শিক্ষা। বর্তমানে যুবকদের বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয় অনর্থক কার্যকলাপে তথা আল্লাহর প্রতি তাদের তেমন কোন ভ্রূক্ষেপ থাকে না। অথচ যৌবনকালের ইবাদত আল্লাহর কাছে সবথেকে বেশি প্রিয়।