ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার ব্যাপারে সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা.) ইরশাদ করেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৪)

আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রিজিক (জীবিকা) প্রশস্ত হওয়ার এবং আয়ু বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)

ইসলামী শরিয়তে প্রত্যেকের সাধ্যানুযায়ী আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে অধিক নিকটতম আত্মীয়রা অগ্রাধিকার পাবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সেই সম্পর্ক রক্ষা করে, যা রক্ষার নির্দেশ আল্লাহ দিয়েছেন।’ (সূরা রাদ, আয়াত : ২১)

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৩৮)

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার অন্যতম সময় বা উপলক্ষ হলো ঈদ ও উৎসবের সময়গুলো। এ সময় আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর রাখা এবং গরিব-আত্মীয়কে সাধ্যমতো সহায়তা করলে তা সম্পর্ক দৃঢ় করতে সহায়তা করবে।

এজন্য ঈদের সময় আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার উপায়গুলো হলো—

>> আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া। উপহার-উপঢৌকন দেওয়া, যথাযথ সম্মান করা ও মর্যাদা দেওয়া।

>> তাদের মধ্যে যারা অভাবী তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করা।

>>আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে এলে হাসিমুখে বরণ করা এবং যথাসাধ্য আপ্যায়ন করা। ঈদের সময় আমন্ত্রণ করা।

>> আত্মীয়-স্বজনের সুসংবাদে শরিক হওয়া এবং দুঃসংবাদে সমব্যথী হওয়া।

>> আত্মীয়-স্বজনের কেউ অসুস্থ হলে ঈদের ছুটির সময়কে কাজে লাগিয়ে দেখতে যাওয়া এবং সাধ্যমতো তার সেবা করা।

>> ঈদে কোনো আত্মীয় দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত কবুল করা।

এনটি