করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে
রমজানের ২০ দিনে কাবা শরিফে নামাজ পড়লেন ৩০ লাখ মুসলিম
স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকালে পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির সার্বিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। সে সূত্রে ওমরাহ পালনার্থীদের আগমন ও মুসল্লিদের পদভারে মুখরিত হারামাইনের দুই পবিত্র প্রাঙ্গন। আর বিধি-নিষেধ ও বিশেষ ব্যবস্থার এই সময়েও রমজানের প্রথম বিশ দিনে শুধু পবিত্র মসজিদুল হারামেই ৩০ লাখের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় ও ওমরাহ পালনে এসেছেন। আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
মুসল্লি ও ওমরাহ পালনকারীরা করোনা টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই পবিত্র মসজিদুল হারামে প্রবেশ করেন। এছাড়াও করোনা সংক্রমণরোধে পবিত্র মসজিদুল হারামের ভেতরে-বাইরে ও সবখানে— আমল ও ইবাদত-বন্দেগিতে সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রমজানে খোলা মক্কা-মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র রমজান মাসে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী খোলা রয়েছে। এর আগে রমজানবিষয়ক এক পরিকল্পনায় এ কথা জানিয়ে ছিলেন পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালক শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস।
শায়খ আল-সুদাইস বলেন, করোনা চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাহ পালন অব্যাহত থাকবে। পবিত্র মসজিদুল হারামে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে। চলমান মহামারিতে আল্লাহর মেহমানদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহ
ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের করোনা ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করে তিনি আরও বলেন, ‘নিজের ও অন্যদের জীবনের সুরক্ষার জন্য মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে আসা সবাইকে করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার অনুরোধ করছি।’
জমজমের বোতল সরবরাহ
রমজান মাসে জমজমের ওয়াটার কুলারের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। তবে প্রতিদিন জমজম পানির দুই লাখ বোতল সরবরাহ করা হবে। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ইফতারি হিসেবে কেবল পানি ও খেজুর সঙ্গে রাখা যাবে। কিন্তু সেগুলো কাউকে বিতরণ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওমরাহ স্থগিত করা হয়। গত বছর পবিত্র রমজানসহ অন্য মাসেও দুই মসজিদে প্রবেশে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। দীর্ঘ ৭ মাস পর গত অক্টোবর থেকে পুনরায় ওমরাহ চালু করা হয়।
এইচএকে/এমএমইউ