ছবি : সংগৃহীত

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। এ রাতের মর্যাদা এক হাজার মাসের চেয়েও বেশি। মর্যাদাপূর্ণ এ রাতে ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে ইবাদত-বন্দেগি করলে— আল্লাহ তাআলা পেছনের সব গুনাহ মোচন করে দেবেন, যদি তিনি তা কবুল করেন।

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন— 

সুতরাং যথাসম্ভব নফল সালাত, দোয়া, জিকির, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদির মাধ্যমে এ মহিমান্বিত রাত জাগরণের চেষ্টা করতে হবে।

অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন যে, শবে কদরের রাতে নফল নামাজে কি সুরা কদর তিলাওয়াত করতে হয়? না হলে কি নামাজ হয় না?

আসলে কথা হলো- হাদিসে এ রাতে নফল সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে (সুরা ফাতিহা ছাড়া) নির্দিষ্ট কোনও সুরা পড়ার নির্দেশনা আসেনি। সুতরাং শবে কদরের রাতে সুরা কদর তিলাওয়াত হবে— এমন কোনো কথা হাদিসসম্মত নয়। বরং সঠিক কথা হলো- সুরা ফাতিহার পর পবিত্র কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয়, সেখান থেকে পাঠ করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ হয়, ততটুকু তিলাওয়াত কর।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ২০)

তবে এ ক্ষেত্রে যথাসাধ্য অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কিয়ামকে দীর্ঘ করা, অধিক পরিমাণে দোয়া-তাসবিহ পাঠ করার মাধ্যমে রুকু ও সিজদা লম্বা করা উত্তম।

প্রসঙ্গত, কেউ যদি এ রাতের নামাজে বিশেষ কোনও সুরা তিলাওয়াত করাকে সুন্নত মনে করে বা নির্দিষ্ট কোনও সুরা পড়াকে নিয়মে পরিণত করে— তাহলে তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে। কারণ হাদিসে কোনও সুরা নির্ধারণ করা হয়নি। সুতরাং আমাদের জন্যও তা নির্ধারণ করা বৈধ নয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন নতুন জিনিষ চালু করল তা পরিত্যাজ্য।’ (বুখারি, হাদিস : ২৬৯৭)

অন্য বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি এমন আমল করল, যার ব্যাপারে আমার নির্দেশ নাই; তা প্রত্যাখ্যাত।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৪৮৯)

আল্লাহ আমাদের সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। সব ধরনের বিদআত থেকে দূরে রাখুন। আমিন।