প্রতীকী ছবি

নামাজের সময় যদি সুনিশ্চিতভাবে বোঝা বা জানা না যায় যে, অজু ভেঙে গেছে বা বায়ু বের হয়েছে। তাহলে নামাজ ছেড়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। বায়ু বের হওয়ার  দু’টি নিদর্শন রাসূল সা. বলে দিয়েছেন। তাহলো—

হয়তো গন্ধ বের হবে। অথবা আওয়াজ বের হবে। এর বাইরেও যদি সুনিশ্চিত ধারণা হয় যে, বায়ু বের হয়ে গেছে। তাহলেই কেবল নামাজ ছেড়ে অজু করতে হবে। শুধু ধারণার উপর নামাজ ছাড়া যাবে না।

হজরত মুহাম্মদ বিন আমর বিন আতা বলেন—

একদিন আমি সায়েব বিন ইয়াজিদ রা.- কে কাপড়ের ঘ্রাণ নিতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি? তখন তিনি বললেন, রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, অজু করা আবশ্যক হয় না বাতাস বা (বাতকর্মের) আওয়াজ ছাড়া। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৫০৬, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫১২)

নামাজে অজু ভেঙে গেলে করণীয়

কারও নামাজে যদি অজু ভেঙে যাওয়ার মত ব্যাপার ঘটে এবং তিনি যদি নিশ্চিত হন যে— তার অজু ভেঙে গেছে, তাহলে তিনি অজু করার জন্য চলে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কারও সাথে কথা বলতে পারবেন না অর্থাৎ নামাজ ভঙ্গ হয়— এমন কোনো কাজ করতে পারবেন না।

জামাতে যদি নামাজ আদায় করে থাকেন, তাহলে কারও সাথে কোনো কথা না বলে অজু করে নেবেন এবং নামাজের যে অংশে অজু ভঙ্গ হয়েছিল— সেখান থেকে নামাজ শুরু করতে পারেন। অর্থাৎ ইমামের সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পর কারও অজু ভেঙে গেছে, তাহলে ইচ্ছে করলে তিনি এরপর বাকি দুই রাকাত নামাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। অজু ভাঙার কারণে তার নামাজ ভাঙেনি, তাই নামাজ ধারাবাহিকভাবে শেষ করতে পারবেন অথবা ইচ্ছে করলে তিনি পুনরায় প্রথম থেকে নামাজ শুরু করে শেষ করতে পারবেন।