ঈমানদারের বিশেষ গুণ অন্যের কল্যাণ কামনা
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,প্রকৃতপক্ষে সমস্ত মুসলিম ভাই-ভাই। সুতরাং তোমরা তোমাদের দু’ ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করে দাও, আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত করা হয়। (সূরা হুজরাত, আয়াত : ১০)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, আমি (নূহ) তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বাণীসমূহ পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকি, আমি তোমাদের শুভাকাঙ্খী। আমি আল্লাহর কাছ থেকে এমন বিষয়গুলো জানি, যা তোমাদের জানা নেই।(সূরা আরাফ, আয়াত : ৬২)
বিজ্ঞাপন
আরও বর্ণিত হয়েছে, আমি (হুদ) তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বাণীসমূহ পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকি, আমি তোমাদের বিশ্বস্ত শুভাকাঙ্খী। (সূরা আরাফ, আয়াত : ৬৮)
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
হজরত আবু রুকাইয়া আতিম ইবনে আওস আদ দারী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেন, দ্বীন ( ইসলামের মূল ভিত্তি) হচ্ছে কল্যাণ কামনা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূল, মুসলমানদের ইমাম (নেতা) এবং মুসলিম জনগণের জন্য। (মুসলিম)।
হজরত জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সা.-এর কাছে নামাজ কায়েম, জাকাত আদায়, সমগ্র মুসলমানের জন্য শুভ কামনা ও সঠিক উপদেশ দানের শপথ (বাইয়াত) গ্রহণ করেছি। (বুখারি, মুসলিম)।
হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত (পূর্ণ) ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (বুখারি ও মুসলিম)।