নওমুসলিম হত্যার বিচার চাইলেন মিজানুর রহমান আজহারী

ওমর ফারুক (৪০) নামে এক নওমুসলিমকে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। এশারের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা গুলি করে তাকে হত্যা করে।

শুক্রবার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, তিনি এর আগে খৃষ্টান ধর্মের লোক ছিলেন। তার নাম ছিল বেন্ন্য ত্রিপুরা। পরিচিত জনৈক মুসলিম বন্ধুর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বান্দরবানের রোয়াংছড়ির তুলাছড়ি এলাকায় তার নিবাস ছিল। ইসলাম গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে ইসলাম প্রচারে তার দাওয়াতি কার্যক্রম বন্ধ করতে— বেশ কিছুদিন ধরে জেএসএসের (সন্তু লারমা) কর্মীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ কবির ওই দিন ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, ওমর ফারুক নামে একজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানি না।

ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক ও দেশপ্রেমিকরা তার হত্যার বিচার চাচ্ছেন। বিশেষত গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার হত্যার বিষয়টি নিয়ে সরগরম।

আরও পড়ুন : বান্দরবানে নওমুসলিমকে গুলি করে হত্যা

ফেসবুক সেলিব্রেটি অনেকের মতো বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম, লেখক ও সুবক্তা মিজানুর রহমান আজহারীও ওমর ফারুক হত্যার বিচার চেয়েছেন। তিনি তার ভেরিফায়েড পেজে লিখেছেন—

‌‘পাহাড়ী দ্বা’য়ী— শহিদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা। হলদে দাঁতের মিষ্টি হাসিতে ইমানি আভা যেন ঠিকরে পড়ছে। আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন।

পাহাড়ী এলাকায় খৃ/স্টা/ন মিশনারির যেমনি দ্বীন প্রচারের অধিকার আছে, মুসলিমদেরও অধিকার আছে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম প্র্যাকটিস ও প্রচারের। ইসলাম গ্রহণ, ইসলাম প্রচার এবং মসজিদ নির্মাণ কি অপরাধ? কিন্তু এই অপরাধেই জীবন দিতে হয়েছে ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছি।

পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি। দেশের চারপাশে সকল পাহাড়ী এলাকায় স্থায়ী সেনা ক্যাম্প থাকা প্রয়োজন। এসব অঞ্চলে মুসলিমদের দাওয়াতি এক্টিভিটিও বাড়াতে হবে। তাওহিদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে পড়ুক পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে পাহাড়ে।’