ইসলামী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর মদিন। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে তিনি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কাটিয়েছেন এই নগরীতে। এখান থেকেই বিশ্বব্যাপী ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন, এখানেই ইন্তেকাল করেছেন। তাই হজ ও ওমরার অংশ না হলেও মদিনা সফরকে জীবনের বড় সৌভাগ্য মনে করেন মুসলিমরা। 

নবীর শহর খ্যাত মদিনায় ভ্রমণে আসা ব্যক্তিরা প্রথমেই মসজিদে নববীতে যান, নামাজ পড়েন, নবীজির রওজা জিয়ারত করেন। এর বাইরেও তারা চারটি গুরুত্বপূর্ণ  ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে যান। এমন চারটি স্থান হলো—

১. মহানবীর (সা.) রওজা

মসজিদে নববীর পাশে দাফন করা হয় মহানবী (সা.)-কে  । পরবর্তী সময়ে মসজিদ সম্প্রসারণ হলে রওজাও মসজিদের অংশ হয়ে যায়। মুসলমানরা এখানে এসে শ্রদ্ধা ও সালাম পেশ করেন। তার পাশেই শায়িত আছেন দুই খলিফা হজরত আবু বকর ও ওমর (রা.)।

২. জান্নাতুল বাকি

কবর জিয়ারত হৃদয়কে নরম করে, আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। জান্নাতুল বাকি মদিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবরস্থান, যেখানে নবীজির স্ত্রীদের অধিকাংশ এবং অনেক সাহাবি শায়িত আছেন।

৩. মসজিদে কুবা

হিজরতের পথে মদিনায় প্রবেশের আগে নবীজি প্রথম যে মসজিদ নির্মাণ করেন, সেটিই কুবা মসজিদ। একটি সহিহ হাদিসে এসেছে—যে ব্যক্তি ঘরে পবিত্রতা অর্জন করে কুবা মসজিদে এসে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তার জন্য একটি ওমরাহর সওয়াব লেখা হয়।

৪. উহুদ পাহাড়

ইসলামের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ গাজওয়ায়ে উহুদের সাক্ষী এই পাহাড়। এখানে সফরকারীরা শহীদ সাহাবিদের কবর জিয়ারত করেন। এই যুদ্ধে ইসলাম ও নবীজির সুরক্ষায় ৭০ জন সাহাবি শাহাদাতবরণ করেছিলেন।