আল্লাহ তায়ালা মহানবীকে (সা.) নবুয়ত দান করার পর প্রথমে কয়েক বছরে তিনি গোপনে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এরপর প্রকাশ্যে ইসলামের পথে আহ্বান করতে শুরু করেন তিনি। এ সময় তাকে নানাভাবে কষ্ট দেওয়া হয়েছিল। আবু জাহেলের নেতৃত্বে মক্কার একদল মানুষ তার আসমানী বার্তা নিয়ে উপহাস করত। 

একদিন সাফা পাহাড়ের পাদদেশে নবীজির সঙ্গে দেখা হলো আবু জাহলের। নবীজিকে   শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট দিলো সে। উদ্ধত্য দেখিয়ে পাথর ছুড়ে মাথায় আঘাত করলো। নবীজি কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে চলে গেলেন। আবু জাহেল গর্বভরে সবাইকে শুনাতে লাগলো নবীজির ওপর হামলা ঘটনা।

ঠিক সেই সময় শিকার শেষে ফিরছিলেন নবীজির চাচা হামজা (রা.)। পথিমধ্যে এক মুক্তদাসী নারী তাকে পুরো ঘটনার কথা জানালেন। খবর শুনে ক্ষিপ্ত হলেন হামজা। ছুটে গেলেন কাবার দিকে। আবু জাহেল সেখানে আড্ডায় খোশগল্পে মেতেছিল। কোনো কথা না বলে শিকারের ধনুক দিয়ে আবু জাহেলের মাথায় জোরে আঘাত করলেন হামজা। এরপর রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, তোর কীভাবে সাহস হলো আমার ভাতিজাকে অপমান করার!

তার সামনেই তিনি ঘোষণা দিলেন ইসলাম গ্রহণের। এরপর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা মুসলিমদের শক্তিশালী করলো। তিনি হলেন নবীজির অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক।

পরবর্তীতে তিনি আসাদুল্লাহ, আল্লাহর সিংহ উপাধিতে ভূষিত হন। ইসলামের সেবায় সাহস, বীরত্ব ও ত্যাগ তাকে ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শহীদের মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামের জন্য তিনি অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন।