আজান বা ইকামতের সময় কোন বাক্য ছুটে গেলে আজান বা ইকামত চলা অবস্থায় অথবা আজান বা ইকামত শেষ হওয়ার পরক্ষণেই যদি স্মরণ হয়, তাহলে ছুটে যাওয়া বাক্য থেকে অবশিষ্ট অংশ পুনরায় বলতে হবে। 

আর আজান বা ইকামত শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্মরণ না হয়ে কিছুটা বিলম্বে স্মরণ হলে আজান বা ইকামত পুনরায় শুরু থেকে দিতে হবে। 
আর ফজরের আজানে যদি ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ বাক্যটি ছুটে যায় তাহলে তা আজানের ভেতরে কিংবা পরপর স্মরণ হলে ওই বাক্য থেকে পুনরায় আজান দেওয়া ভাল। কিন্তু যদি আজান শেষে বিলম্বে স্মরণ হয়, তবে এক্ষেত্রে পুনরায় আজান দেওয়ার দরকার নেই। বরং আগের আজানই যথেষ্ট হবে।

নামাজ আদায়ের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এর পাশাপাশি জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য একামত দেওয়া সুন্নত। আজান ও ইকামতের বিধানগুলো ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। এজন্য ফরজ নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের গুরুত্ব অপরিসীম।

আমাদের সমাজে সাধারণত মসজিদে আজান দেওয়া ও নামাজ পড়ানোর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিযুক্ত করা থাকে। মুয়াজ্জিন একই সাথে আজান ও ইকামত দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। মুয়াজ্জিনের ইকামত দেওয়া শেষ হলেই ইমাম নামাজ পড়ানো শুরু করেন।

এনটি