কোরআনে আসহাবে কাহাফের কুকুর সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা একটি কুকুরের কথা তুলে ধরেছেন। কুকুরটি হলো আসহাবে কাহাফের কুকুর। এই কুকুর তাদের সঙ্গী হয়েছিল যখন তারা লোকালয় ছেড়ে গোপনে গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং কুকুরটি তাদের সঙ্গে ছিল ও তাদের পাহাড়া দিয়েছিল।
আসহাবে কাহাফ কারা?
বিজ্ঞাপন
ইসলাম পূর্ব যুগে এক অঞ্চলের মানুষেরা আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে মূর্তি পূজা করতো। সেই অঞ্চলেল সম্ভ্রান্ত সাত যুবক মূর্তি পূজা থেকে নিজেদের দূরে রাখতো। মানুষের নিজ হাতে বানানো মূর্তি পূজার ব্যাপারটি তাদের বিবেকে নাড়া দিতো। তারা সবাই লোকালয় থেকে লুকিয়ে নির্জনে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করতেন।
আল্লাহর প্রতি তাদের ঈমান আনার কথা জানতে পারলো সে যুগের খোদাদ্রোহী শাসক। সে তাদের আবারও মূর্তি পূজার আহ্বান জানালো এবং ইসলাম থেকে সরে আসতে বললো। কিন্তু সেই যুবকেরা আসমানী ধর্মের ওপর অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিলো। বাদশা তাদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
বিজ্ঞাপন
কোরআনে আসহাবে কাহাফের কুকুরের আলোচনা
শাস্তির কথা জানতে পেরে সেই সাত যুবক নিজেদের ঈমান বাঁচানোর জন্য শেষ পর্যন্ত গুহায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। গুহায় আশ্রয় নেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে হয়েছিল একটি কুকুর। কুকুরটির সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
‘তুমি মনে করবে—তারা সজাগ, অথচ তারা ছিল ঘুমন্ত, আমি তাদের ডানে-বামে পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম। আর তাদের কুকুরটি গুহার দরজার সামনে তার সামনের পা দুটি প্রসারিত করে ছিল। তুমি যদি তাদের দেখতে, তাহলে অবশ্যই পেছন ফিরে পালিয়ে যেতে, আর অবশ্যই আতঙ্কিত হয়ে পড়তে।’ (সুরা কাহফ, আয়াত : ১৮)
এ আয়াতে আসহাবে কাহফের ঘটনায় কুকুরটির মূল ভূমিকার কথা উঠে এসেছে। মহান আল্লাহ গুহামুখের যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিলেন, তাতে কুকুরের পা ছড়িয়ে বসে থাকা ছিল অন্যতম।
এরপর আসহাবে কাহফের সংখ্যার আলোচনায় আরও তিনবার কুকুরটির কথা এসেছে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, কিছু লোক বলবে, তারা ছিল তিনজন, চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর। আর কিছু লোক বলবে, তারা ছিল পাঁচজন, ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর, অজানা বিষয়ে সন্দেহপূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। আবার কিছু লোক বলবে, তারা ছিল সাতজন, আর অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলো, তাদের সংখ্যা সম্পর্কে আমার প্রতিপালকই বেশি জনেন। অল্প কয়জন ছাড়া তাদের সংখ্যা সম্পর্কে কেউ জানে না। কাজেই সাধারণ কথাবার্তা ছাড়া তাদের ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক করো না, আর তাদের সম্পর্কে কারও কাছে কিছু জিজ্ঞেসও করো না। (সুরা কাহফ, আয়াত : ২২)
এনটি