অনেক সময় আমরা কঠিন মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হই। নিজের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের আতঙ্ক ও ভয় কাজ করে। কোনো কিছুতে শান্তি খুঁজে পাই না। এসব থেকে উত্তরণের জন্য তখন বিভিন্ন ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নেই এবং পাপ কাজে জড়িয়ে মানসিক প্রশান্তি খোঁজার চেষ্টা করি।

কিন্তু বিষয়টি নেতিবাচকভাবে গ্রহণ না করে এবং  ভেঙে না পড়ে এটিকে এক ধরনের পরীক্ষা হিসেবে দেখা যেতে পারে। কারণ আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন, তাদেরই বেশি পরীক্ষা নেন। শয়তানের সঙ্গে এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ধৈর্য ধারণ করলে এবং আল্লাহর দিকে ফিরে এলে তা বান্দার জন্য কল্যাণকর হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, নিজেকে পুরোপুরি পরাজিত মনে করা। যদি কেউ বাস্তবে গুরুতর পাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তার একমাত্র চিকিৎসা হলো তওবা ও আত্মশুদ্ধি। শুধু তওবা করলেই যথেষ্ট নয়, পাপের কাজ পরিত্যাগ করে জীবনধারায় বাস্তব পরিবর্তন আনাও জরুরি।

পাপ থেকে দূরে থাকার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো, কেনো পাপে জড়িয়ে পড়ছি তা চিহ্নিত করা। এবং এই অনুভূতি নিজের মধ্যে আনা যে আল্লাহর বিধান আমাদের কল্যাণের জন্য দেওয়া হয়েছে, আল্লাহ নিজে এর মুখাপেক্ষী নন। এই উপলব্ধি তৈরি হলে আল্লাহর আনুগত্য সহজ হয় এবং মানুষ নিজেকে পরিপূর্ণ ও স্থির অনুভব করবে।

মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার দুটি উৎস রয়েছে। একটি হলো মানুষের প্রকৃত সত্তা বা রূহ, যা ভালো ও কল্যাণকর বিষয় চায়। 
অন্যটি হলো শয়তানের কুমন্ত্রণা, যা মানুষের অন্তরে অনুভূতির মাধ্যমে প্রভাব ফেলে। শয়তান শুধু যুক্তি দিয়ে নয়, অনুভূতিকে ব্যবহার করেই মানুষকে ভুল পথে টেনে নেয়। অনেক সময় সত্যের আড়ালেই সে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।

যেমন, ভালোবাসা মানুষের স্বাভাবিক প্রয়োজন। কিন্তু শয়তান এই প্রয়োজনকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে ভুল সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দেয়। এসব ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বুঝতে পারা ও বারবার তওবা করার মধ্য দিয়েই একজন মুসলমান নিজেকে পরিশুদ্ধ করে।

শয়তানের কুমন্ত্রণা সবাইকেই মোকাবিলা করতে হয়। যারা সঠিক পথে থাকার চেষ্টা করেন, শয়তান তাদেরকেই বেশি আক্রমণ করে। যারা আগে থেকেই পথভ্রষ্ট, তাদের আর বিচ্যুত করার প্রয়োজন পড়ে না।

তাই আল্লাহর কাছে সাহায্য ও হেদায়েত চাইতে হবে। আল্লাহ কখনো তার কাছে সাহায্যপ্রার্থীর আবেদন উপেক্ষা করেন না। যে আন্তরিকভাবে পথনির্দেশ চায়, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখান।

এনটি