ছবি : সংগৃহীত

হজ ইসলামের মৌলিক বিধান। যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলামের ভিত্তি— হজ তার অন্যতম। হজ ও অন্য একটি মৌলিক বিধান জাকাতের সঙ্গে আর্থিক সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে বিশেষ পার্থক্যও রয়েছে। তাই কারো ওপর জাকাত ফরজ না হলেও কিন্তু তার ওপর হজ ফরজ হতে পারে।

জাকাত ফরজ না হলেও হজ যেভাবে ফরজ হয়

হজ ও জাকাতের মধ্যে আর্থিক সামঞ্জস্য রয়েছে। তবে উভয়টির মাঝে পার্থক্য হলো— জাকাত নির্ধারিত নিসাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়ার খরচের সঙ্গে। সুতরাং স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় করে— কেউ যদি হজ আদায় করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে— বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম, খণ্ড: ০২, পৃষ্ঠা: ১৫২; আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ৫১৬)

একইভাবে ব্যবসায়ীর দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে, তার কিছু অংশ বিক্রয় করলে যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি বাকি পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম, খণ্ড: ০২, পৃষ্ঠা: ১৫৩)

আগে নিজের হজ আদায় করতে হবে

মনে রাখতে হবে যে, সামর্থ্যবান ব্যক্তি আগে নিজের হজ আদায় করবে। এরপর মাতা-পিতার হজের চিন্তা করবে। যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে তাদের নিয়ে একসঙ্গে হজ করবে। অন্যথায় আগে নিজের ফরজ হজ আদায় করে নেবে। (ফতওয়া রহিমিয়া, খণ্ড: ০৮, পৃষ্ঠা: ২৮২)

অনেকে মনে করেন— আগে সন্তানের বিয়ে দিতে হয়, তারপর হজ আদায় করতে হয়। আসলে এ কথা সঠিক নয়। ইসলাম এটা সমর্থন করে না। হজ ফরজ হলে— হজ আদায় করে নিতে হয়।

প্রসঙ্গত, ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের বিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তাই বলে সন্তানের বিয়ের জন্য হজে যেতে বিলম্ব করা যাবে না। (ফতওয়া রহিমিয়া, খণ্ড: ০৮, পৃষ্ঠা: ২৭৬)