প্রতীকী ছবি

মানুষের আচার-আচরণ ব্যক্তি জীবনের বড় সৌন্দর্য। আমাদের সমাজে প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ আছে— ব্যবহারে বংশের পরিচয়। আসলেই সুন্দর আচরণ মানুষকে অন্যের কাছে ভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপন করে। মুগ্ধ ও আগ্রহী করে তোলে।

আচরণের সৌন্দর্যে অচেনা-অজানা ভিন্ন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষও প্রভাবিত হয়। পাষণ্ড ব্যক্তিও ভালো ব্যবহারকারীর প্রতি ঝুঁকে পড়ে। মানবজাতির সবচেয়ে সুন্দর আচরণের অধিকারী মুহাম্মদ (সা.)। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষের জীবনচরিত্র ছিল মাধুর্যপূর্ণ। তাঁর চরিত্রের তুলনা শুধু তিনিই ছিলেন। সুন্দর আচরণ ও অমায়িক ব্যবহারে তিনি মানুষের মন জয় করেছেন নিমিষেই। তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য-অগণিত মানুষ।

ইসলাম মানুষকে ভালো ব্যবহারে উৎসাহী করে। সুন্দর আচরণের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন—

وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِلْمُؤْمِنِينَ

‘মুমিনদের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ করো।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৮৮)

সদাচরণ ও নৈতিকতা জীবনে সফলতা, কল্যাণ ও সার্থকতা বয়ে আনে। নৈতিকতাহীন ও সদাচরণ বিবর্জিত ব্যক্তিকে মানুষ ঘৃণ্যভরা চোখে দেখে। পক্ষান্তরে নীতি-নৈতিকতায় ভালো হলে- মানুষ তার প্রতি আন্তরিক হয়। আচার-ব্যবহারে বিমুগ্ধ হয়ে তার প্রতি নিবেদিত হয়। তাই মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে বিনয়ী হয়ে ও নম্রভাবে। এটি রাসুল (সা.) শ্বাশ্বত ও চিরন্তন সুন্নত। আর দুর্বোধ্যতা ও অহংকারের সঙ্গে কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটি সামাজিক জীবনেও নিন্দীত ও ঘৃণিত।

হাসিমুখে কথা বলা বড় পুণ্যের কাজ। সামান্য হাসি দিয়ে সহজেই মানুষকে আপন করা যায়। পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে আপন করে নেওয়া যায়। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—

لا تَحقِرَنَّ مِنَ المَعْرُوف شَيْئًا، وَلَو أنْ تَلقَى أخَاكَ بوجهٍ طليقٍ

‘ভালো কাজের ছোট অংশকেও অবজ্ঞা কোরো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাতের মাধ্যমে হয়।’ (রিয়াজুস সালেহিন, হাদিস : ৬৯৪)