পবিত্র কাবা শরিফের সামনে তাওয়াফরত হজযাত্রীরা। ছবি : সংগৃহীত।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এ বছরও সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাবতীয় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবারের হজে সৌদি আরবে বসবাসরত ১৫০টি দেশের নাগরিকসহ অংশ নিচ্ছেন ৬০ হাজার মানুষ।

শনিবার (১৭ জুলাই) সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে পৌঁছেছেন। কাবা-চত্ত্বরে এসে তারা তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ করেছেন। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজের স্থানগুলোতে হাজিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও রাখা হয়েছে। তাছাড়া হজের পুরোটা সময়ে স্মার্টফোনের সাহায্যে হাজিদের সার্বিক গতিবিধি ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিরীক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ জুলাই) থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী ২২ জুলাই পাঁচদিন পর্যন্ত হজের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আজ শনিবার ভোরবেলা থেকে হাজিদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে পবিত্র কাবা চত্বর। 

হজের প্রাথমিক কার্যক্রম হিসেবে হাজিরা ইতিমধ্যে কাবার তাওয়াফ (তাওয়াফ কুদুম) শুরু করেছেন। এরপর তারা সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। রোববার মিনা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। এরপর সোমবার ১০ কিলোমিটার দূরের আরাফা প্রাঙ্গণে যাবেন। এরপরের দিন ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

এ বছর (১৪৪২ হিজরি) হজের দিন খুতবা ও দিক-নির্দেশনা দেবেন শায়খ ড. বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলাহ। তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের সিনিয়র ইমাম ও খতিব। বুধবার (১৪ জুলাই) সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে শায়খ ড. বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলাহকে নিয়োগ দিয়েছেন।