প্রতীকী ছবি

খাবার খাওয়া ইবাদত। খাবার গ্রহণে মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। যদি রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা হয়, তাহলে সওয়াবের সংখ্যা বেড়ে যায়। খাবার গ্রহণে অনন্য সৌন্দর্য প্রকাশ পায়।

এই লেখায় এমন তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে, যে তিনটিতে আমরা সাধারণত জড়িয়ে যাই। কিন্তু আল্লাহর রাসুল (সা.) তা থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন বা খাবার গ্রহণে সেসব করতে নিষেধ করেছেন। সেই তিনটি হলো—

এক. হেলান দিয়ে খাবার খাওয়া

আল্লাহর রাসুল্য (সা.) যেকোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খাবার খেতে তিনি নিষেধ করেছেন। হেলান দিয়ে খাওয়ার নানা অপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে পেট বড় হয়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য। আবার ক্ষেত্র বিশেষে দাম্ভিকতাও প্রকাশ পায়।

আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি টেক লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৬)

আরও পড়ুন : স্ত্রীকে প্রফুল্ল রাখা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত

দুই. খাবারে ফুঁ দেওয়া

খাবার ও পানীয়তে ফুঁ দেওয়া অনুচিত। কারণ, এতে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) খাবারে কখনো ফুঁ দিতেন না। কোনো কিছু পান করার সময়ও তিনি ফুঁ দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৩)

তিন. খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা

যারা রান্না করেন, তারা শত চেষ্টা করেন যেন খাবার সবদিক থেকে ভালো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও খাবারে দোষ-ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বা অন্য কারও সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করা বিশ্রি ও নিতান্ত বেমানান।

হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)  কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮২)