ছবি : সংগৃহীত

কোনো দম্পতির ছেলে ও মেয়ে উভয়ে সামর্থ্যবান। উভয়েরই বিয়ে-শাদি হয়ে গেছে। এখন তাদের মা-বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেলে, ছেলে মা-বাবার যাবতীয় খরচ বহন করে থাকে। কিন্তু জানা বিষয় হলো- বিয়ের পর মেয়ের উপর কি বাবা-মায়ের খরচ বহন করা জরুরি?

এর উত্তর হলো- মেয়ের যদি নিজস্ব মালিকানাধীন (স্বামীর নয়) সম্পদ থাকে এবং প্রয়োজনীয় খরচাদির পর মা-বাবার জন্য খরচ করার সামর্থ্য থাকে; তাহলে সে বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত— পিতা-মাতার খরচ বহনে ভাইয়ের সঙ্গে তারও অংশ নেওয়া জরুরি।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‌‌তোমাদের সন্তান তোমাদের প্রতি আল্লাহর দান। তিনি যাকে চান, কন্যা দান করেন। আর যাকে চান, তাকে ছেলে সন্তান দান করেন। তারা এবং তাদের সম্পদ দুই-ই তোমাদের, যখন তোমাদের প্রয়োজন পড়ে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৩১৭৭)

উক্ত হাদিসে রাসুল (সা.) প্রয়োজনের সময় পিতা-মাতাকে সন্তানের সম্পদ ব্যবহারের অধিকার দিয়েছেন। তাই সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক— কর্তব্য হলো, মা-বাবার যথাসাধ্য খরচ বহন করা।

প্রসঙ্গত, মেয়ে যদি বিবাহিত হয় এবং তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করে— আর ছেলে যদি বাবা-মা’র বাড়িতে অবস্থান করে এবং তাদের স্থায়ী সহায়-সম্পদ (ঘর-বাড়ি, পুকুর, কৃষি জমি ইত্যাদি) এককভাবে ভোগ করে থাকে; তাহলে সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের খরচের বড় অংশ ছেলেরই বহন করা উচিত। তবে আগেই বলা হয়েছে, সামর্থ্যবান মেয়েদেরও (যদিও সে শ্বশুর বাড়িতে থাকে) বাবা-মায়ের দেখা শোনা ও তাদের খরচাদি বহনে যথাসাধ্য অংশ গ্রহণ করা দায়িত্ব।

তথ্যসূত্র : ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৫৬৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৪৪৮; কিতাবুল আছল : ১০/৩৪০; আলমাবসূত, সারাখসি : ৫/২২২; আল-মুহিতুল বুরহানি : ৪/৩৫০; ফাতহুল কাদির : ৪/২২৩