জার্মানিতে মাইকে জুমার আজানের অনুমতি

জার্মানির কোলন নগরীতে মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের অনুরোধ ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আজান দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপের বিখ্যাত এ নগরীর মেয়র হেনরিয়েত্তে রেকে এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধির জন্য দুই বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মাইকে জুমার নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মসজিদের ভেতরের নান্দনিক দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, আমাদের শহরে অনেক মুসলিম বাসিন্দা রয়েছেন। তারা আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্য দূর করার জন্য এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে আমরা জুমার নামাজের আজান মসজিদের মাইকে দেওয়ার বৈধতা দিয়েছি।

ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ ও মুসলিমদের বসবাস

কোলনে ইউরোপের অন্যতম বড় মসজিদ এবং জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদ অবস্থিত। এটি কোলনের কেন্দ্রীয় মসজিদ হিসেবে পরিচিত। ৪৫০০ বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদে একসঙ্গে চার হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করতে পারেন।

আরও পড়ুন : সেন্ট পিটার্সবার্গ নীল মসজিদের নান্দনিক সৌন্দর্য

মসজিদের ভেতরে মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের অবস্থান

প্রায় পাঁচ মিলিয়নের মতো মুসলমান জার্মানিতে বাস করেন। তাদের একটি বড় অংশ তুর্কি বংশোদ্ভূত। কোলনে বসবাসরত সোয়া লাখ মুসলমানের জন্য সত্তরটির মতো মসজিদ রয়েছে। অধিকাংশ মসজিদ এমন জায়গায় তৈরি যা সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদটি ব্যতিক্রম।

জার্মানিতে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠা

শুধু কোলনে ২০১৭-১৮ সালে তুরস্ক থেকে এসেছেন ৫৫ হাজার মুসলিম অভিবাসী। দেশটির অন্য যেকোনো নগরী থেকে এখানে মুসলিমদের বসতি সবচেয়ে বেশি। জার্মানিতে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯১৫ সালে। জার্মানিতে তিন হাজারের মতো মসজিদ রয়েছে।

ভেতরের নান্দনিক ও নয়নাভিরাম দৃশ্য।

সম্প্রতি জার্মানিতে মসজিদের সংখ্যার একটি ধারণা দিয়েছে জার্মানির ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমস।’ তাদের হিসেবে জার্মানিতে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদ আছে, যার মধ্যে পথচারীরা মাত্র নয়শ’টিকে মসজিদ হিসেবে চেনে। বাকিগুলো হয় কোনো সমিতির চত্বরে কিংবা পরিত্যক্ত কোনো কারখানায় গড়ে তোলা হয়েছে।