প্রতীকী ছবি

গোসল করলে মানুষের শরীর পরিচ্ছন্ন হয়। আলাদা একটা আবেশ ও চঞ্চলতা কাজ করে। শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ঠিক রাখতে গোসলের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও গোসল শরিয়তের আদেশও বটে। তাই কোন কোন সময় গোসল ফরজ হয় এবং কখন গোসল করা আবশ্যক— তা জেনে রাখা জরুরি।

অনুরূপভাবে ফরজ গোসলের নিয়ম ও যাবতীয় পদ্ধতি জেনে রাখা উচিত। কারণ, কেউ যদি সঠিকভাবে ফরজ গোসল করতে না পারেন; তাহলে তিনি অপবিত্র রয়ে যাবেন। যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়, সেগুলো হলো-

এক. উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া

জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কেননা ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে— মানুষ অনেক সময় টের পায় না। তাই কোনো ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখে, তাহলে তার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক— সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে। (হিদায়া : ১/৪৫, আন-নুতাফ ফিল ফাতাওয়া, পৃষ্ঠা : ২৯)

দুই. যৌন মিলন ও সহবাস করা

সহবাস ও যৌন মিলন করলে গোসল ফরজ হয়। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে। বীর্যপাত না হলেও গোসল করতে হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৯১; মুসলিম, হাদিস : ৩৪৩)

তিন. ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাবের পর

নারীদের প্রতি মাসে বিশেষ একটা সময়ে ঋতুস্রাব হয়। এটা বন্ধ হওয়ার পর গোসল করা ফরজ। এছাড়াও নেফাস (সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব) বন্ধ হওয়ার পরও গোসল করা ফরজ। (রাদ্দুল মুহতার : ১/১৬৫)