প্রতীকী ছবি

ইসলামপূর্ব জাহিলিয়াতের যুগে সকালবেলা কারও সঙ্গে সাথে সাক্ষাৎ হলে— সাবাহ খায়র (গুডমর্নিংয়ের  সমার্থবোধক শব্দ) এবং বিকালে সাক্ষাৎ হলে মাসা খায়র (গুডইভেনিং এর সমার্থবোধক শব্দ) ব্যবহার করত। কিন্তু ইসলাম মুসলমানদের তৎকালীন উপরোক্ত প্রচলিত শব্দাবলী ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। যদিও উপরোক্ত শব্দাবলীর সম্পৃক্ততা আল্লাহর দিকেই করত।

ইসলাম মুসলমানদের সর্বক্ষেত্রে সালামেরই শিক্ষা দিয়েছে। সুতরাং গুডমর্নিং, গুডইভেনিং, গুডনাইট, গুডবাই, টাটা ইত্যাদি শব্দাবলী বিজাতীয় সংস্কৃতি; আজকালকার মুসলমান সমাজে যার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এগুলো ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না।

আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যদি কেউ আমাদের মধ্যে কোনো(ধর্মীয়) নতুন জিনিস সৃষ্টি করে তাহলে সে আমাদের মধ্য থেকে নয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৭১৮)

ইবনে রজব হাম্বলি রহ উক্ত হাদিসের ব্যখ্যা করে বলেন, ‘প্রত্যেক ওেই আমল— যা আল্লাহএবং রাসুলুল্লাহর পদ্ধতির সমর্থিত নয়, তা বর্জিত ও পরিত্যাজ্য। (জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম : ১৭৬)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে, সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৫১২)

অতএব, মুসলমানদের উচিত সাক্ষাতের প্রথমে সালাম দেওয়া এবং সাক্ষাতের শেষে নিম্নোক্ত দোয়া পড়া।

আরবি : 

أستودع اللّٰه دينك وأمانتك وخواتيم أعمالك

উচ্চারণ : আসতাওদিউল্লাহা দ্বীনাকা ও আমানাতকা ও খাওয়াতি-মা আমা-লিকা।

অর্থ : তোমার দ্বীন, ঈমান ও সর্বশেষ আমলের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তাআলাকে আমানতদার নিযুক্ত করলাম।

উক্ত দোয়ার সমার্থবোধক আল্লাহ হাফেজ বা ফি আমানিল্লাহও বলা যায়। ফি আমানিল্লাহ অর্থ হলো- আপনাকে আল্লাহর নিরাপত্তায় দিয়ে দিলাম, তিনি যেন আপনাকে নিরাপদ রাখেন। এটি একটি সুন্দর দোয়া, তবে হাদিসের দোয়া নয়। এমনকি সালামও বলা যাবে।

তথ্যসূত্র : ফতোয়ায়ে জামেয়া : ৫/৩৫০; ফতোয়ায়ে রহিমিয়া : ৬/২৫৬; জামেউল ফতোয়া : ৯/২৩৭; কিতাবুল ফতোয়া : ৬/১২৫