প্রতীকী ছবি

ইসলামী নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন করলে, প্রতিটি কাজে সওয়াব মিলে। অনেক সময় বিপদ-আপদ আশীর্বাদ হয়ে আসে। মহান আল্লাহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের খাঁটি নেককার বান্দা হিসেবে গড়ে তুলেন। কিন্তু এরপরও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বিভিন্ন আমল ও দোয়া করা চাই। আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের সেসব শিক্ষা দিয়েছেন।

এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু... পড়বে, বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, ১০টি নেকি লেখা হবে, ১০টি গুনাহ মাফ হবে, ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে। তেমনি মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে।

আরবি :

لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮)

এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কেও নানা বর্ণনা এসেছে। তাই আল্লাহ কাছে আশা করা যায়, তিনি সব রকম সওয়াব ও ফজিলত দান করবেন।

এক বর্ণনায় এসেছে, ‘...তার আমলনামায় একশ নেকি লেখা হবে, একশ গুনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৭১৯)