দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে মুমিন ৫ বার আল্লাহকে স্মরণ করে। সালাত আদায় করলে জীবনে বরকত আসে। প্রতিটি নামাজের পর কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে। ফজর ও মাগরিব নামাজের পর যে দোয়া বা বাক্য পাঠ করতে হয়, সেই বাক্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু…পড়বে, বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে ও দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮)

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল হামদু ওয়া লাহুল মুলকু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। কোনো বর্ণনায় ‘ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ুমিতু’ শব্দ রয়েছে। 

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তার কোনো শরিক নেই, যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই, কর্তৃত্ব তাঁরই, তিনিই মহান। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪)

দোয়াটি কখন পড়বেন
বিভিন্ন বর্ণনায় বলা হয়েছে, বৈঠক থেকে ওঠার আগে এবং কোনো কথা না বলেই এই বাক্যটি পাঠ করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৯৯০) 

দোয়াটির সওয়াব ও ফজিলত
কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘…তার আমলনামায় একশ নেকি লেখা হবে, একশ গুনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আজাদ করার সাওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৭১৯)

কোনো বর্ণনায় বলা হয়েছে, হজরত ইসমাঈলের (আ.) বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সাওয়াব পাওয়া যাবে। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, দশজন গোলাম আজাদের সাওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস :৫০৭৭, তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৬৮)

বাক্যটি ফজরের সালাতের পর যে ব্যক্তি পাঠ করে, সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহ তাকে শয়তান থেকে হেফাজতে রাখেন। অনুরূপ মাগরিবের সালাতের পর যে ব্যক্তি পাঠ করে, তাকেও আল্লাহ শয়তান থেকে হেফাজত করেন।

এইচএকে/এমএমইউ