ছবি : সংগৃহীত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দৈনিক বান্দার ওপর ফরজ। যেকোনো অবস্থাতেই নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে নামাজ কীভাবে পড়বে— সেই নিয়মও রয়েছে। তাই নামাজ থেকে দূরে সরে থাকার সুযোগ নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নামাজ বরাবরই উত্তম ও আল্লাহকে কাছে পাওয়ার বড় মাধ্যম।  তবে কিছু সময় রয়েছে, যখন নামাজ পড়া শরিয়তের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ও মাহরুহ (অপছন্দনীয়)।

অর্থাৎ এমন কিছু সময় আছে, যেসব সময় ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। আবার কিছু সময় আছে, যখন নামাজ পড়া— অপছন্দনীয় বা শরিয়ত না করে থাকে। এই লেখায় নামাজের মাকরুহ সময়গুলো উল্লেখ করা হলো—

এক. ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত থেকে অতিরিক্ত পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৮৫)

দুই. ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)

তিন. আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)

চার. ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬০)

পাঁচ. ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ। ( সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৬৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৮৪; আল-মাজমু : ৫/১৭; আলমুগনি : ২/২৭৯)

ছয়. ঈদের নামাজের পরে ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১২৮৩)

সাত. সময় যদি এত কম হয় যে সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজের সময় শেষ হয়ে যাবে, এমন সময় নামাজ পড়া মাকরুহ।

আট. খুব ক্ষুধা ও খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে সে সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। এর ফলে খানার সঙ্গেই মন লেগে থাকবে, নামাজের সঙ্গে নয়। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)

নয়. প্রস্রাব-পায়খানার বেগ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)