ছবি : সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব যখন দূষণমুক্ত জ্বালানি খুঁজছে। আর এই সময়টাতে একটি নতুন প্রযুক্তি ধারণা নিয়ে মার্কিন পেটেন্ট অফিসে রেজিস্ট্রেশন করেছেন দুই সৌদি গবেষক। তাদের গবেষণা মতে, ফ্লোরের নিচে পাতানো ছোট পিস্টনের ওপর হাঁটার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। তাদের এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে তারা সবচেয়ে যুতসই স্থান হিসেবে দেখছেন মক্কা-মদিনার পবিত্র দুই মসজিদকে।

হাঁটা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে সাধারণ কাজ। হাঁটার সময় ভূপৃষ্ঠে পায়ের আঘাত হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক। এতে কম্পন ও শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে পদাঘাতকারী প্রচুর শক্তি ব্যয় করেন। নতুন এই উদ্ভাবন মতে শক্তিগুলো সঞ্চয় করে বিদ্যুতে পরিণত করা হবে। সে হিসেবে এই প্রযুক্তিতিটি নিশ্চয় আশা-জাগানিয়া। দূষণমুক্ত জ্বালানি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নব-সংযোজনও বটে।

প্রযুক্তিটির অন্যতম অংশীদার কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটির মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুল হামিদ আল-খতিব সংবাদমাধ্যমকে জানান, ধারণাটি নিবন্ধন করতে আমাদের বেশ কয়েক বছর সময় লেগে গেছে। মক্কা-মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ হলো এই প্রযুক্তির জন্য সবচেয়ে যুতসই স্থান। কারণ, প্রচুর পরিমাণে মুসল্লি  প্রতিনিয়ত এখানে হাঁটাহাটি করেন। তাদের পায়ের ক্ষয়িত শক্তির বিদ্যুতায়ন করা গেলে মসজিদ দুটির প্রয়োজন পূর্ণ করার মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

আল-খতিব প্রযুক্তিটির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ফ্লোরের নিচে ছোট ছোট পিস্টন পাতানো থাকবে। সেগুলোতে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপন্নশক্তি জরুরি ব্যাটারিতে সংগ্রহ করা হবে। বেশি মানুষ চলাচল করে এমন স্থানই এই প্রযুক্তির জন্য সহায়ক। আর এই উদ্ভাবন প্রয়োগ করা মোটেও ব্যয়বহুল নয়। পাতানো পিস্টনগুলোর সঙ্গে সহজেই সাধারণ টাইলসই ব্যবহার করা যাবে। পিস্টনগুলোতে যখন চাপ পড়লে, তখন বাতাস বা পানির চলাচলের মাধ্যমে তাতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে পদচ্ছাপকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছিল ভারতের পরমাণুশক্তি বিভাগের রিয়েক্টর কন্ট্রোল ডিভিশন। মার্কিন সাসটেইনেবল অ্যানার্জি কোম্পানি পেভেজেনও ইতিমধ্যে এমন প্রযুক্তি ডিজাইন করেছে।