ছবি : সংগৃহীত

আজ ১লা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস। ‘নারীর হিজাব পরার পক্ষে দাঁড়ান’— এ আহ্বানকে সামনে রেখে দিবসটির গোড়াপত্তান। বাংলাদেশসহ বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস পালন শুরু হয় ২০১৩ সালে। একজন বাংলাদেশি নারীর আহ্বানেই এই দিবসের যাত্রা শুরু। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

প্রথম বছরেই ৬৭টি দেশের মুসলিম নারীরা এতে অংশ নেন। এছাড়াও খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও হিজাব দিবস পালন করে থাকেন। গত বছর ১৫০টি দেশে এ দিবস পালিত হয়েছিল। এ বছর ১৪০টি দেশে পালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাধারণত বিশ্ব হিজাব দিবসের মূল অনুষ্ঠান নিউইয়র্কের সিটি হলের বারান্দায় হয়ে থাকে। বাংলাদেশি, ভারতীয়, আফগান, তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর, কুয়েত, কাতার ও ইরানের নারীরা হিজাব দিবসের চেতনা ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

বস্তুত হিজাব নারী জীবনের একটি মহান অনুষঙ্গ। হিজাব নারীকে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল করে। হিজাবের মাধ্যমে ইসলাম নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত হয়। সমাজের স্বাভাবিক কর্মপ্রবাহ মার্জিত ও পরিশীলিতার রূপ পায়।

হিজাব আরবি শব্দ। এর বাংলা প্রতিশব্দ আবরণ বা অন্তরায়। আর শরিয়তের পরিভাষায় নারীর রূপ-লাবণ্য ও সৌন্দর্য গায়রে মাহরাম থেকে আড়ালে রাখা এবং তাদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা পরিহার করাই হলো হিজাব। স্বভাবতই অশ্লীলতা ও ব্যাভিচার রোধকল্পে শরিয়ত নারীকে পরপুরুষ ও গায়রে মাহরাম ব্যক্তি থেকে নিজ রূপ-লাবণ্য ও সৌন্দর্য গোপন করার জন্য যে বিধিবদ্ধ নিয়ম পালনের আদেশ রয়েছে। 

পর্দার তাৎপর্য ও গুরুত্ব বর্তমানে বহুরৈখিকভাবে প্রমাণিত। হিজাব ও পর্দার মাধ্যমে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে নবী (সা.)! আপনি আপনার স্ত্রীদের, আপনার কন্যাদের ও মুমিনদের নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের চাদরের একাংশ নিজেদের (মুখের) উপর নামিয়ে দেয়ে। ’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৯)

তাফসিরে কুরতুবিতে এসেছে, উপরোক্ত আয়াতে মুখের উপর নামিয়ে দেওয়া মানে— এমন বড় চাদর দ্বারা আবৃত করা, যা দ্বারা মুখমন্ডল ও পূর্ণ দেহ আবৃত করা যায়। আর বোরকার মাধ্যমে এ উদ্দেশ্য উত্তমরূপে পূরণ হয়।