প্রতীকী ছবি

ঘুমিয়ে যাওয়ার পর মানুষের চৈতন্য থাকে না। অবচেতন সময়টাতে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ক্ষুদ্র পোকা-মাকড় নাক-কান দিয়ে শরীরের ভেতরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শয়ন-প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটার কারণে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে। তাই সব ধরনের সমস্যা ও আশঙ্কা থেকে বেঁচে থাকতে মহানবী (সা.) কিছু আমল শিখিয়েছেন। আমলগুলো ছোট এবং পালনে সহজ।

পাঠকদের জন্য চারটি সহজ আমল উল্লেখ করা হলো-

আয়াতুল কুরসি
হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, 

তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়ে নেবে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সবসময় তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)

‘তিন কুল’ পড়ে  ফুঁ দেওয়া
আয়েশা (রা.) মহানবী (সা.)-এর ঘুম সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। তাতে তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতে রাসুল (সা.) যখন বিছানায় যেতেন, তখন সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে দুই হাত একত্র করে তাতে ফুঁ দিতেন। তারপর মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যত দূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বুলাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। কেউ পড়লে তা সারা রাত তার নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে। 

রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করে, তবে এই দুইটি তার জন্য যথেষ্ট।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৪০)

সুরা মুলক পড়া
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোরআনের মধ্যে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো- ‘তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক’ বা সুরা মুলক।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১)

বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, এই সুরা না পড়ে রাসুল (সা.) কখনো ঘুমাতেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯২)

তাই ঘুমের পর সার্বিক নিরাপত্তা এবং আল্লাহর ক্ষমা লাভের জন্য এই ছোট আমলগুলো করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।