মারকাযুল লুগাহর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ঢাকার মুহাম্মাদপুরে অবস্থিত আরবি ভাষার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ-এর তৃতীয় ছাত্র-পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। মারকাযের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়েখ মুহিউদ্দীন ফারুকীর সভাপতিত্বে মারকাযের ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী জামিয়া মাদানিয়ার বিভাগীয় প্রধান, আরবি ভাষার লেখক ও গবেষক শায়েখ আবু নোমান আল মাদানী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শক্তিমান লেখক ও আলোচক উস্তাদ শরীফ মুহাম্মাদ, জামিয়াতুল উস্তাদ শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ.-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক উস্তাদ শফিকুল ইসলাম ইমদাদী, জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া ঢাকা-এর আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান দায়িত্বশীল উস্তাদ মুঈনুদ্দীন ইবাদুল্লাহ ও উস্তাদ ফরিদুদ্দীন আল মাদানীসহ আরও অনেকে।

বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দুপুর তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে এ অনুষ্ঠান। কোরআন তিলাওয়াত ও আরবি নাশিদ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর আরবি ভাষায় উচ্চতর ডিপ্লোমা বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের চারজন ছাত্র চারটি সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরবি মুহাযারা পেশ করে।

আসরের পর মারকাযের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দারুল আরাবিয়্যাহর প্রথম প্রকাশনা ‘মাজাল্লাতুল ইবদা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং তৃতীয় ব্যাচের ছাত্রদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয় এবং এ ব্যাচের সবার পক্ষ থেকে শায়েখ মহিউদ্দীন ফারুকীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

উস্তাদ শরীফ মুহাম্মাদ তার বক্তব্যে আরবি ভাষা শেখার প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‌‘পৃথিবীর প্রতিটি ভাষারই নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এ ক্ষেত্রে সব ভাষাই সমান। কেউ যদি একটি ভাষা ভালোভাবে শিখে তাহলে অবশ্যই সে অন্যান্য ভাষাতেও ভালো করতে পারবে।’ এছাড়াও তিনি সবাইকে চিন্তার উদারতা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

চার ব্যাচের চারজন ছাত্রের অনুভূতি প্রকাশ ও শায়েখ মুহিউদ্দীন ফারুকীর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়ে। শায়েখ মুহিউদ্দীন ফারুকী ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, আরবি ভাষা যেমন বিস্তৃত, তার খেদমতের পরিধিও বিশাল। সুতরাং একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবি যেমন শেখাতে হবে, পাশাপাশি অব্যহত চর্চার মাধ্যমে আত্মন্নোয়ন করে উচ্চস্তরের প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখা, গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ তৈরি করার প্রতিও মনোযোগী হতে হবে। আমাদেরকে অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। চারদিকে সৃজনশীলতা ও আরবি ভাষার কথা ছড়িয়ে দিতে হবে।