প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইবাদত-বন্দেগির জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষ যখন তার জীবন আল্লাহর হুকুম ও নবী (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক কাটাবে— তখন আল্লাহ তাআলা সবকিছু ইবাদতে পরিণত করবেন। আর বিপুল সওয়াবে ভূষিত করবেন।

পরকালের মানুষ আল্লাহর রহমত ও আমলের সওয়াবের মুখাপেক্ষি হবে। কেউ কেউ একটু সওয়াব কম থাকায় হাহাকার করবে। তাই এখানে অধিক সওয়াব অর্জন করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। ফলে যেসব আমলে অধিক সওয়াব লাভ হয়— তা জেনে নেওয়া জরুরি।

জোয়ায়রিয়াহ (রা.) বলেন যে রাসুল (সা.) সাতসকালে আমার কাছ থেকে ঘরের বাইরে গেলেন এবং আমি জায়নামাজে বসে অজিফা পড়ছিলাম, তারপর চাশতের পর দিনের এক-চতুর্থাংশ চলে গেল। তখন রাসুল (সা.) ফের ঘরে এলেন। তখনো আমি একই অবস্থায় জায়নামাজে অজিফা পড়ায় মগ্ন ছিলাম। তা রাসুল (সা.) দেখে আমাকে বলেন যে আমি যাওয়ার সময় তোমাকে যে অবস্থায় দেখেছি, এখনো কি তুমি সেই আগের অবস্থায় রয়ে গেছ? আমি বলেছি হ্যাঁ, রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর যে চারটি কলেমা পাঠ করেছি, তা যদি তোমার সকাল থেকে এই পর্যন্তের সব অজিফার বিপরীতে ওজন করা হয়, তাহলে এই চারটি কলেমার ওজন বেশি ভারী হবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৮০৬)

দোয়াটি হলো (আরবি) :

سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খলকিহি, ওয়া রিজাকা নাফসিহি, ওয়া জিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহ।

অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও তার প্রশংসা বর্ণনা করছি, তার সৃষ্টি সংখ্যা পরিমাণ, তার মর্জি অনুযায়ী, তার আরশের ওজন পরিমাণ এবং তার কালামের কালির পরিমাণ।