আল-মুনাওয়ার মসজিদ, ইন্দোনেশিয়া।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায়— এলাকার মানুষ সেখানে বিভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য মানত করে। আবার অনেকে বিশেষ বিশেষ দিন— যেমন : শবেবরাতে সেখানে নামাজ আদায় করতে যান।

ইসলামে কি এমন মসজিদগুলোর বিশেষ কোনো মর্যাদা রয়েছে? বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ।

এ প্রশ্নের উত্তর হলো- প্রাচীনত্ব বা কোনো বুজুর্গ ব্যক্তির মাজার ইত্যাদির কারণে— আল্লাহর ঘর হিসেবে কোনো মসজিদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায় না। বরং হাদিসে বর্ণিত তিনটি মসজিদ ছাড়া আল্লাহর ঘর হিসেবে পৃথিবীর সব মসজিদের মর্যাদা সমান। তাই কোনো মসজিদকে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী মনে করা, সেখানে মানত করা এবং বেশি সওয়াবের আশায় সেখানে যাওয়া উচিত নয়।

প্রাচীন হওয়ার কারণে কোনো মসজিদ জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে ইবাদত ও আল্লাহর ঘর হওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো বিশেষ প্রভাব নেই। হাদিসে বর্ণিত তিনটি মসজিদ হলো- মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আকসা। রাসুল (সা.) এ তিনটি মসজিদ সম্পর্কে বলেন, ‘শুধু তিন মসজিদের উদ্দেশে সফর করা যাবে। মসজিদে হারাম, আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে আকসা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৮৯)

মনে রাখতে হবে, কোনো মসজিদের ইমাম যদি বুজুর্গ হন, দ্বীনদারিতে এগিয়ে থাকেন; আর কোনো মসজিদে যদি ধর্মীয় জ্ঞানের চর্চা থাকে ও সেখানে ইবাদতের পরিবেশ বেশি প্রশান্তিকর হয়— তবে সেখানে নিজের জ্ঞানগত ও আমলগত উন্নতির জন্য যাওয়া নিন্দনীয় নয়।