বেলা সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। এটা ইফতার শুরুরও সময়। ইফতার দেরি করে করা মাকরুহ, তাই ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে নেবে।

আর মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হলেই আজান-ইকামত দিয়ে নামাজ আদায় করা উত্তম। পশ্চিম আকাশ বেশ কিছু সময় লালিমা থাকে, এই লালিমা শেষ হওয়ার পর একটু সাদাভাব হয়। সাদাভাব শেষ হওয়ার পর আকাশ কালো হতে শুরু করে। আকাশ কালো হওয়ার আগ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে।

মাগরিবের নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে?

অর্থাৎ আকাশের অবস্থা যতক্ষণ লাল ও সাদা মিশ্রিত থাকে ততক্ষণ মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে। মাগরিবের সময় প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। আমাদের দেশের অনেকে মনে করেন, মাগরিবের সময় ১৫-২০ মিনিট। যে কারণে এই সময়ের ভেতর মাগরিব পড়তে না পারলে আর পড়ে না। মনে করে, কাজা যখন হয়েই গেল তখন পরে এক সময় পড়ে নেব। অথচ সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে নামাজ পড়লেও আদায় হয়ে যাবে। কোনো ইমামের মতে লাল শেষ হয়ে সাদা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে এশার ওয়াক্ত শুরু হয়। (হানাফি মাজহাবে এ মতের ওপর ফতোয়া নয়। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই সময়ে এশা পড়বে না।) [আল বাহরুর রায়েক : ১/৪২৫- ২৬]

মাগরিবের উত্তম সময়

মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়া উত্তম। কিন্তু রমজান মাসে একটু দেরি করে পড়তে বলা হয়েছে। যাতে আগে ইফতার করে নেওয়া যায়। কারণ আগে ইফতার করতে পারলে নামাজ খুশু-খুজুর (একাগ্রতার সঙ্গে) সঙ্গে নামাজ পড়া সম্ভব। (আল বাহরুর রায়েক : ১/৪৩১)